শেষ ওভারে ১৫ রান লাগলেও আত্মবিশ্বাসী থাকতেন হার্দিক

৩০ বলে চাই ৫১ রান। হাতে উইকেট ছয়টি। তখনই হার্দিক পান্ডিয়া সাজিয়ে ফেলেছিলেন নিজের ব্যাটিংয়ের পরবর্তী সময়ের পরিকল্পনা।
ছবি: টুইটার

৩০ বলে চাই ৫১ রান। হাতে উইকেট ছয়টি। তখনই হার্দিক পান্ডিয়া সাজিয়ে ফেলেছিলেন নিজের ব্যাটিংয়ের পরবর্তী সময়ের পরিকল্পনা। তাতে সফল হওয়ার পর ভারতের ডানহাতি তারকা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, শেষ ওভারে যদি ১৫ রানও দরকার হতো, সেই দাবি মেটাতে আত্মবিশ্বাসী থাকতেন তিনি।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে শিরোপাধারী ভারত। 'এ' গ্রুপের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে তারা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় বাবর আজমের দল। জবাবে ২ বল হাতে রেখে ১৪৮ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছান রোহিত শর্মারা।

ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় অনুমিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন হার্দিক। ৮৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন তিনি। জাদেজা বিদায় নিলেও হার্দিক অপরাজিত থেকে যান। ৪ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৩ রান। বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজকে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। এর আগে পেস বোলিংয়ে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে হার্দিক ৩ উইকেট নেন ২৫ রানে। তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দেন তিনি। মাত্র ১০ রানের মধ্যে তার শিকার হন ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও খুশদিল শাহ। সেই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি পাকিস্তানের।

দারুণ জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল ভারত। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের ব্যাটারদের ভুল করতে বাধ্য করার পরিস্থিতি তৈরির কথা জানান হার্দিক, 'বোলিংয়ের ক্ষেত্রে ম্যাচের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা এবং যার যার অস্ত্র ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। শর্ট ও হার্ড লেংথে বল করা হলো আমার শক্তির জায়গা। মূল ব্যাপার হলো এগুলোকে ভালভাবে ব্যবহার করা এবং ব্যাটারদের ভুল করার জন্য উপযুক্ত অবস্থা তৈরি করা।'

১৫তম ওভারে ব্যাট করতে নামা হার্দিক শুরুতেই গুছিয়ে নিয়েছিলেন ছক। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় শেষ ওভারে আরও কঠিন সমীকরণ পেলেও তা মেলানোর মনের জোর রেখেছিলেন তিনি, 'এরকম একটা রান তাড়ায় সব সময় ওভার-বাই-ওভার পরিকল্পনা করতে হয়। আমি ১৫ নম্বর ওভারের পর থেকে পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি জানতাম যে তাদের বোলিংয়ে বিকল্প নেই (পাঁচ বোলার)। আমি জানতাম একজন অভিষেক ম্যাচ খেলছে (পেসার নাসিম শাহ) এবং একজন বাঁহাতি স্পিনার (নওয়াজ) আছে। শেষ ওভারে আমাদের দরকার ছিল মাত্র ৭ রান। কিন্তু আমাদের যদি ১৫ রানও লাগত, তাহলেও আমি সফল হতাম বলে বিশ্বাস করি।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago