হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারত

পাকিস্তানের বিপক্ষে কার্যকরী এক ইনিংস খেলে ছন্দে ফেরার আভাসটা দিয়ে রেখেছিল বিরাট কোহলি। হংকংয়ে বিপক্ষে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। তবে তাকে ছাপিয়ে ব্যাট হাতে এদিন নায়ক সূর্যকুমার যাদব। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন বড় পুঁজি। এরপর বাকি কাজ সারেন বোলাররা। তাতে হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল।

বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হংকংকে ৪০ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২ রান তুলতে সমর্থ হয় হংকং।

লক্ষ্য তাড়ায় হংকংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১২ রানেই ওপেনার ইয়াসিম মুর্তজাকে হারায় দলটি। আর্শদিপ সিংয়ের বাউন্সারে টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন আবেশ খানের হাতে। এরপর আরেক ওপেনার অধিনায়ক নিজাকাত খানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাবর হায়াত। রানের গতি সচল রেখে দ্বিতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করে লড়াইটা ভালোই করছিল তারা। কিন্তু নিজাকাত দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে গেলে ভাঙে এ জুটি। তাতে রানের গতিতেও লাগাম পরাতে পারে ভারত।  

নিজাকাতের বিদায়ের পর বাবরের সঙ্গে দলের হাল ধরেন কিঞ্চিত শাহ। তবে স্কোরবোর্ডে ২ রান যোগ করতে জাদেজার শিকারে পরিণত হন বাবর। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে চাপও। যদিও চতুর্থ উইকেটে আইজাজ খানের সঙ্গে ৩১ রানের একটি জুটি গড়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন কিঞ্চিত। কিন্তু সে অর্থে রান তুলে পারেনি দলটি। এরপর দ্রুত রান তোলার তাড়ায় ভুবনেশ্বরের শিকার হন কিঞ্চিত। আইজাজ বোল্ড হয়ে যান আবেশের বলে।

তবে শেষ দিকে এক প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছিলেন জিসান আলী ও স্কট ম্যাককিচনি। ষষ্ঠ উইকেটে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে তাতে কেবল হারের ব্যবধান কমেছে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ৩৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ রান অপরাজিত থাকেন জিসান। ৮বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাককিচনি। কিঞ্চিতের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। 

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে ভারত। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার জুটি থেকে আসে ৩৮ রান। ভারতীয় অধিনায়ককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আইয়ুস শুক্লা। এরপর কোহলির সঙ্গে দলের হাল ধরেন রাহুল। গড়েন ৫৬ রানের জুটি। দলীয় ৯৮ রানে রাহুলকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ গাজানফার।

এরপর উইকেটে আসেন সূর্যকুমার। শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়াতে মনোযোগ দেন তিনি। অপর প্রান্তে কোহলি অবশ্য কিছুটা দেখে শুনেই ব্যাট চালান। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ৯৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার। ২৬ বলে সমান ৬টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৪ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন কোহলি। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। রোহিত করেন ২১ রান।

Comments

The Daily Star  | English

India plane crash death toll revised to 240 after 'double-counting'

It’s the first Dreamliner crash since its 2011 commercial debut, says Aviation Safety Network

15h ago