'কেউই বলেনি, ভাই রিভিউটা নেন'

রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে মাঠের এ রোমাঞ্চটা উপভোগ করতে পেরেছেন কেবল লঙ্কানরাই। সবকিছুই যেন কাঁটা হয়ে বিঁধেছে টাইগার ও তাদের সমর্থকদের বুকে। কারণ ব্যাটিংটা ভালো হলেও বোলিং ফিল্ডিংয়ে পরতে পরতে ভুল করেছে বাংলাদেশ। তার একটি ছিল রিভিউ না নেওয়া।

কুশল মেন্ডিস তখন ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন। ইবাদত হোসেনের লেগ স্টাম্পের বাইরে রাখা বাউন্সারে গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। রিভিউ নিলেই তাকে ফেরাতে পারতো টাইগাররা। কিন্তু কেউই কিছু শোনেননি বলে জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

তবে বোলার ইবাদত আবেদন করেছিলেন জোরালোভাবেই। অভিষেক ম্যাচ ছিল এটা তার। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নন। তবে চাপে ছিলেন নিঃসন্দেহে। তা প্রমাণিত হয়েছে পরের দুই ওভারেই। কিন্তু তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে কিছু শোনেননি বলে আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। এরপর অভিষেক হওয়া এ পেসার আর কিছুই বলেননি।

অবশ্য এমন ভুল নতুন কিছু নয় বাংলাদেশের জন্য। বহু ম্যাচেই সঠিক সময়ে রিভিউ না নেওয়ায় ভুগেছে টাইগাররা। আবার এমন সব উদ্ভট রিভিউ নিয়েছে যা আদতে আউট হওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। এক অর্থে পুরনো এ সমস্যাই বারবার ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।

ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক সাকিবের কণ্ঠে কেবল আক্ষেপই ঝরেছে, 'কেউই কিছু শোনে নাই আসলে। কী বলব, আমি কাভারে ছিলাম, কিছু শুনতে পাইনি। কেউই বলেনি, ভাই রিভিউটা নেন। বোলার থেকে শুরু করে কেউই বলে নাই।'

এছাড়াও কাঠগড়ায় রয়েছে টাইগার বোলারদের এলোমেলো বোলিং। ৪টি নো-বল ও ৬টি ওয়াইড। অর্থাৎ ১০টি বাড়তি বল করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই বাড়তি বলে বাড়তি রান আদায় করে নেওয়ার পাশাপাশি দলের সেরা ব্যাটার মেন্ডিস তো জীবনই পেয়েছেন। তখন তিনি ছিলেন ২৯ রানে। সেই মেন্ডিস শেষ পর্যন্ত করেছেন ৬০ রান।

চিরাচরিত ক্যাচ মিসের আক্ষেপও ছিল এ ম্যাচে। তাও আবার করেছেন সেই মুশফিকই। এর আগেও বহু ম্যাচে ক্যাচ মিস কিংবা স্টাম্পিং মিস করে খলনায়ক সেজেছেন। এদিনও করেছেন আরও একবার তার পুনরাবৃত্তি। ব্যক্তিগত ২ রানেই মেন্ডিসকে জীবন দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Diplomatic push loses steam

Iran says European proposals ‘unrealistic’; Trump says Europe’s diplomacy unlikely to yield results

5h ago