সুজন বললেন, 'আমার একটুও ভালো লাগছে না'

Khaled mahmud sujon
খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইল ছবি

আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের আশা জাগালেও তা পূরণ হয়নি বাংলাদেশের। সেকারণে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে এশিয়া কাপে ইতোমধ্যে দর্শক হয়ে গেছে তারা। দলের এমন বেহাল দশার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ওপর। অকপটে তিনি জানিয়ে দিলেন মন-মেজাজ ভালো না থাকা ও ক্লান্ত হয়ে পড়ার কথা।

এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে সাকিব আল হাসানদের হার ২ উইকেটে। খালি হাতে আসর থেকে বিদায় নিলেও দুই ম্যাচেই লড়াই জমিয়েছিল টাইগাররা। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লম্বা সময় তারা ছিল চালকের আসনে। কিন্তু শেষ হাসি অধরা থেকে যায় তাদের। আফগানরা ৯ বল ও লঙ্কানরা ৪ বল বাকি থাকতে ছিনিয়ে নেয় বিজয়।

শুক্রবার দুবাইতে পরিবার নিয়ে টিম হোটেল থেকে বেরোনোর সময় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুজন। তখনই তিনি জানান ক্লান্তি ভর করার কথা, 'আমার একটুও ভালো লাগছে না। খুব স্ট্রেস (ধকল) গেছে (গত) কয়টা দিন। এখনই (বাংলাদেশে) চলে যেতে পারলে ভালো হতো। এদের (পরিবার) নিয়ে একটু ঘুরে আসি। আগামীকাল (শনিবার) যাব।'

টিম ডিরেক্টর হিসেবে সুজনের ওপরও ছিল দলকে সঠিক পথে ফেরানোর চাপ। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফম্যান্স একেবারে তলানিতে। এশিয়া কাপ থেকে আগেভাগে বাদ পড়ায় সেই চাপ নিঃসন্দেহে আরও ঘনীভূত হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রভাবশালী কর্মকর্তা সুজনের কণ্ঠে তাই শোনা যায় তীব্র হতাশার করুণ সুর, 'আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা দুই দলের সঙ্গেই জেতা উচিত ছিল। আমরা জিততে শিখতে পারছি না।'

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে এলোমেলো বোলিংকে দায় দেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার সুজন, 'গতকাল (বৃহস্পতিবার) ব্যাটিংটা ভালো হয়েছে। সেটা নিয়ে সবাই খুশি ছিলাম। কিন্তু এত ওয়াইড-নো দিলে কি জেতা যায়? আমরা এই জায়গাতেই পিছিয়ে গেছি। খুব কষ্টকর ছিল মেনে নেওয়া।'

উল্লেখ্য, এশিয়া কাপে ভরাডুবির পর আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী হওয়া কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অক্টোবর-নভেম্বরে গড়াবে ওই আসর। তার আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানসহ একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago