স্নায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি: নবি

ম্যাচটা পাকিস্তানের হাতের মুঠোতেই ছিল। সহজ জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। তবে ১৮তম বল করতে এসে জোড়া উইকেট তুলে আশার পালে হাওয়া দেন ফজলহক ফারুকি। পরের ওভারে দুটি শিকারে সে আশা দ্বিগুণ করেন ফরিদ আহমেদ। ম্যাচটা তখন উল্টো হেলে পরে আফগানদের দিকে। কিন্তু শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কায় ফের হাওয়া বদল করে পাকিস্তানকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দেন নাসিম শাহ।

ম্যাচটা পাকিস্তানের হাতের মুঠোতেই ছিল। সহজ জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি। তবে ১৮তম বল করতে এসে জোড়া উইকেট তুলে আশার পালে হাওয়া দেন ফজলহক ফারুকি। পরের ওভারে দুটি শিকারে সে আশা দ্বিগুণ করেন ফরিদ আহমেদ। ম্যাচটা তখন উল্টো হেলে পরে আফগানদের দিকে। কিন্তু শেষ ওভারে টানা দুই ছক্কায় ফের হাওয়া বদল করে পাকিস্তানকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দেন নাসিম শাহ।

অথচ নাসিম শাহর পরিচয় একজন বোলার। তার উপর শেষ উইকেট জুটিতে শেষ ওভারে ১০ রান নেহায়েত কমও নয়। কিন্তু আগের ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করা ফারুকি দিলেন টানা দুটি ফুলটস। আর তাতে ব্যাটে-বলে দারুণ সংযোগ করে দুটিকে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেন নাসিম। মূলত স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে না পারার কারণেই ইয়র্কার দিতে গিয়ে ফুলটস দিয়ে ফেলেন ফারুকি। ম্যাচ শেষে সরল স্বীকারোক্তিই দিলেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।

পুরো ম্যাচে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেও শেষ দিকে স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে জানান নবি। 'ছেলেরা বোলিং এবং ফিল্ডিং খুব ভালো করেছে। কিন্তু আবারো আমরা ভালো ভাবে শেষ করতে পারিনি এবং আমাদের স্নায়ুচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমরা কোনো পর্যায়ে খেলা ছাড়িনি। ছেলেরা প্রতিটা বলে লড়াই করেছে। তার পর ব্যাট এবং বল সব লড়াই শেষ হয়ে গেল।'

বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়ার অভিজ্ঞতা থেকেই জানতেন অল্প রান করলেও কাজটা সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য। নবির ভাষায়, 'বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো তাড়া করে জিতেছি। আমরা জানতাম, এখানে ১৩০ রান তাড়া করা কঠিন হবে, তাই আমরা ডট বল করেছি। আমরা সহজে সিঙ্গেল দিইনি। শেষ দুই বলে স্লো বাউন্সার বা ইয়র্কার করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ও (ফারুকি) ওর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। শেষ ম্যাচটাও একই শক্তি নিয়ে খেলার চেষ্টা করব। আমাদের সমর্থনের জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ।'

বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। পাক বোলারদের দাপটে মাত্র ১২৯ রান করতে পারে আফগানরা। অথচ উইকেট পড়েছিল তাদের ৬টি। দুই ওপেনার ছাড়া কেউই আগ্রাসী হতে পারেননি। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক বাবর আজমকে শুরুতে হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে ৪ উইকেটে ৯৭ রান তুলে ফেলায় কাজটা কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২১ রানের ব্যবধানে ৫টি উইকেট তুলে নিতে পারলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি আফগানরা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Government logo

Govt cancels 8 national days including historic 7th March

The interim government has announced the cancellation of eight significant national days, including the one commemorating the historic March 7 speech of Bangabandhu

2h ago