বিস্ফোরক সেঞ্চুরি দিয়ে দীর্ঘ খরা কাটালেন কোহলি
ফরিদ আহমেদের বলে লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি মারার পর চাবুকের মতো পুল শটে বল গ্যালারিতে পাঠিয়েই উল্লাসে মাতেন কোহলি। ৫৩ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে। আড়াই বছরের বেশি সময় পর সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে অন্যরকম অনুভূতি প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। নিয়মরক্ষার ম্যাচের সব আলোই কেড়ে নেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে ছিল তার ৭০টি সেঞ্চুরি, টি-টোয়েন্টিতে ছিল না একটিও। টেস্ট ও ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি খরা চলছিল আড়াই বছর ধরে। অবশেষে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে খরা কাটালেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোহলির সেরা দিনের ঝাঁজ টের পেয়েছে আফগানিস্তান। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর নিয়মরক্ষার ম্যাচে কোহলি খেললেন ৬১ বলে ১২২ রানের অপরাজিত বিস্ফোরক ইনিংস। তাতে চড়ে ২০ ওভারে ভারত করেছে ২ উইকেটে ২১২ রান।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কলকাতায় গোলাপি বলের টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। এরপর ক্যালেন্ডারের পাতায় পেরিয়ে গেছে ১ হাজার ১৯ দিন। এক সময়ের সেঞ্চুরি মেশিন কোহলি তিন অঙ্কে যেতেই ভুলে গিয়েছিলেন। ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেটার একে একে হারিয়েছেন তিন সংস্করণের নেতৃত্ব। এবার এশিয়া কাপে তার দলে থাকা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। অবশেষে সব সংশয় দূর করে আবার তিনি উদ্ভাসিত হলেন সেঞ্চুরির আলোয়।
রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে এদিন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে যান কোহলি। ওপেনিং জুটিতে ৭৬ বলে তারা আনেন ১১৯। ৪১ বলে ৬২ করে রাহুল ফেরার পর দলের হাল ধরে কোহলি আফগান বোলারদের উপর চেপে বসেন।
৩১ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। বাকি ৩০ বলেই তুলেন আরও ৭২ রান। ১২ বাউন্ডারির সঙ্গে কোহলি মেরেছেন হাফ ডজন ছক্কা। চোখ ধাঁধানো কাভার ড্রাইভ, ফ্লিকের বাহার, চাবুকের মতো পুল শট। রান উইকেটের মাঝে ক্ষিপ্র গতির রানিং দেখা গেছে। এবারের এশিয়া কাপে এক সেঞ্চুরি আর দুই ফিফটিতে ২৭৬ রান করে তিনিই এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
এই সেঞ্চুরির দিনে রিকি পন্টিংকে স্পর্শ করেছেন তিনি। ক্রিকেট ইতিহাসে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সেঞ্চুরি করায় শচিন টেন্ডুলকারের পরে পন্টিংয়ের পাশে আছেন তিনি। দুজনেই করেছেন ৭১টি সেঞ্চুরি। তবে পন্টিং অবসর নিয়েছেন বেশ আগে। নিশ্চিতভাবেই তাকে ছাড়িয়ে অনেক দূর যাওয়ার সুযোগ কোহলির।
Comments