কাউকেই বোঝাতে পারেনি কী চলছিল মাথার ভিতর: কোহলি
দুইটি সেঞ্চুরির মাঝে সময়ের পার্থক্য ১০২০ দিন। খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু খেলোয়াড়ের নামটা যখন বিরাট কোহলি তখন বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। মাঝে যেন নিজেকে পুরো হারিয়ে ফেলেছিলেন। কী দুঃসময়ই না চলছিল তার। আর সে সময়টা এতোই ভয়ঙ্কর ছিল যে তার মাথায় কী চলছিল তা কাউকেই বোঝাতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। ৬১ বলে খেলেন ১২২ রানের হার না মানা এক ইনিংস। আর তাতেই সেঞ্চুরি করতে ভুলে যাওয়া এ ক্রিকেটার ফিরেন স্বরূপে। একই সঙ্গে দলও পায় দারুণ এক জয়। ১০১ রানে হারিয়ে আফগানদের রীতিমতো বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে ভারত।
তবে সুপার ফোরে আগেই দুটি ম্যাচ টানা হেরে যাওয়ায় এমন উড়ন্ত জয়েও লাভ হয়নি ভারতের। ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। তবে আগের দিনের ম্যাচে অন্তত স্বস্তিটা ফিরে পেয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। কারণ সময়ে সেরা ব্যাটার কোহলি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটাও কম নয় তাদের জন্য।
তবে দুঃসময়টা যে কতোটা ভুগিয়েছে তা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন কোহলি। নিজের সেরা সময়ের ভিডিও দেখেছেন। সমস্যাটা কী তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ খেলায় তেমন কোনো পরিবর্তনই পাননি তিনি। শেষপর্যন্ত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের খরা কেটেছে তার।
ম্যাচ শেষ কোহলি বলেছেন, 'আমাকে অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। প্রচুর উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ বলছিলেন, এটা ভুল করছি। কেউ বলেছিলেন, ওটা। আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়ের সব ভিডিও দেখেছিলাম। শুরুতে যেভাবে নড়াচড়া করতাম, সেভাবেই করছিলাম। কোন বল খেলব কীভাবে, সেই ভাবনা-চিন্তাও এক ছিল। কিন্তু আমার মাথার ভিতরে কী চলছিল, আমি কাউকে বোঝাতে পারছিলাম না।'
'দিনের শেষে ব্যক্তি হিসেবে আপনি জানেন যে আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, নিজের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে কী করতে হবে। লোকজনের বিভিন্ন মত তো থাকবেই। কিন্তু আপনার ঠিক কী মনে হচ্ছে, সেটা তারা কখনো বুঝতে পারবেন না। গত কয়েক মাসে আমি বেশ আলাদাভাবে পুরো বিষয়টা অনুভব করেছি। সেই সময়ের জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল,' যোগ করেন কোহলি।
Comments