‘শ্রীলঙ্কা দলের চরিত্রই হচ্ছে ইতিবাচক থাকা’
৫৮ রানেই পড়ে গিয়েছিল ৫ উইকেট। অমন বিপদের পরিস্থিতিতে ভড়কে না গিয়ে, আড়ষ্ট না হয়ে পালটা আক্রমণে যান ভানুকা রাজাপাকসে আর ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। ইতিবাচক এই মানসিকতাই পরে তাদের এনে দেয় দারুণ পুঁজি। যা ধরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ভাসছেন তারা।
রোববার এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে এই দুজনের নৈপুণ্যে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। আগে ব্যাটিং পেয়ে রাজাপাকসের ৪৫ বলে অপরাজিত ৭১ ও হাসারাঙ্গার ২১ বলে ৩৬ রানে ১৭০ রানের পুঁজি পায় দাসুন শানাকার দল। পরে পাকিস্তানকে আটকে রাখে ১৪৭ রানে। তাতেও ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অবদান হাসারাঙ্গার।
অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরা হওয়া রাজাপাকসে ম্যাচ শেষে জানান দলের চাপেও ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ থাকাটাই তাদের এই অবস্থায় এনে দিয়েছে, 'ওরকম চাপে কাজটা সহজ ছিল না। তারা ভাল বল করছিল। ভানিন্দু (হাসারাঙ্গা) ও আমি খুব সুন্দর পরিকল্পনা করি। শ্রীলঙ্কা দলের চরিত্র হচ্ছে ইতিবাচক থাকা এবং চাপ না নেওয়া। এটাই আমাদের রান করতে সাহায্য করেছে।'
ক্রিজে এসে শুরুতেই মেরে খেলার নীতি থাকে রাজাপাকসের। এদিন এক পাশে উইকেট পড়তে দেখে তাকেও দমে যেতে হয় কিছুটা সময়। তবে ওই সময়টা আবার কাজটা সহজ করে দেন হাসারাঙ্গা, 'যখন ইফতেখার বল করতে এলো ভানিন্দু মারতে চাইল। আমরা কিছু রান পেলাম। আমি আমার খেলার ধরণে কিছুটা বদল এনেছিলাম আজ যখন পাকিস্তান টপে ছিল। কিছুটা সময় পার করতে চেয়েছিলাম।'
শেষ ১০ ওভারে তারা তুলে ১০৩ রান, শেষ ৫ ওভারে নিয়ে আসে ৫৩ রান। চাপের সময়ের ভাবনাকেও ছাড়িয়ে শক্ত অবস্থানে তাই চলে যায় তারা, 'চাপের সময়ে একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ১৪০ রানই ভাল পুঁজি হবে এই পিচে। আসলে আমরা চেয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত থাকতে তাহলে লক্ষ্যটা বড় দিতে পারব আর মোমেন্টাম আমাদের দিকে চলে আসবে।'
Comments