পাকিস্তানের হারে কাবুলে নেচে-গেয়ে উল্লাস আফগানদের

হারিস রউফ যখন চামিকা করুনারাত্নের বলে বোল্ড হলেন তখন দলে দলে আফগানরা বের হয়ে এলেন কাবুলের রাস্তায়। রীতিমতো নেচে-গেয়ে বাজী ফুটিয়ে উল্লাস করলেন তারা। ব্যাপারটা এমন যেন জিতেছে তাদের নিজ দলই।

কাবুলের রাস্তায় আফগানদের এমন উল্লাসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে এক জোট হয়ে উল্লাসে নাচছেন আফগানরা। সেখানে যোগ দিয়েছে ছেলে বুড়ো সবাই। কেউবা আনন্দে কেঁদেও ফেলেন।

অথচ লড়াইটা ছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যে। পাকিস্তানের হারে কেন এতো উল্লসিত আফগানরা?

এবার সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জোরালো সম্ভাবনা তৈরি করেও জিততে পারেনি আফগানিস্তান। রোমাঞ্চকর সে ম্যাচে নাসিম শাহর দুটি ছক্কায় হারতে হয় তাদের। অথচ একজন বোলার হিসেবেই পরিচিত তিনি।

মূলত পাকিস্তানের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি সেদিন ফজলহক ফারুকি ও ফরিদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রায় বের করে আনে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার আসিফ আলীকে আউট করে তখন তার মুখের সামনে গিয়ে উদযাপন করেন ফরিদ। তাতে ক্ষেপে যান আসিফ। ধাক্কাধাক্কিও হয় দুই খেলোয়াড়দের মধ্যে।

সে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারীতেও। নিশ্চিত জয় ভেবে উল্লাস করতে থাকেন আফগানরা। কিন্তু নাসিম শাহ বাজী পাল্টে দিলে তখন উদযাপন করতে থাকে পাকিস্তানিরা। তখন ক্ষেপে যান আফগানরা। হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে দুই দলের সমর্থকরা। তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। সেখানে দেখা যায় পাকিস্তানি সমর্থকদের পেটাচ্ছেন আফগানরা।

তবে দুই দলের দ্বৈরথটা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালেই। সেবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে মাঠের বাইরে হাতাহাতিতে জড়ান দুই দেশের সমর্থকরা। এবার সেই রেষারেষি আরও বেড়েছে।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভানুকা রাজাপাকশের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১৭০ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। জবাবে প্রমোদ মাদুসেন ও ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago