কোহলি-রাহুলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড পুঁজি ভারতের

বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড পুঁজি গড়েছে ভারত।

দুই ওপেনার শুভমান গিল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছিল ভারত। কিন্তু ফিফটি করে বিদায় নেন দুই ওপেনারই। এরপর ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেন বিরাট কোহলি ও চোট থেকে ফেরা লোকেশ রাহুল। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুইজনই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড পুঁজি গড়েছে রোহিতের দল।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান তুলেছে দলটি। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০০৫ সালে নিজেদের মাঠে ৯ উইকেটে ৩৫৬ রান করেছিল ভারত।

রিজার্ভ ডে'তে এদিন ভারতের উপর তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি পাকিস্তান। তুলে নিতে পারেনি কোনো উইকেট। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন আগের দিন ২৪ রানের জুটি গড়া রাহুল ও কোহলি। এদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে অবিচ্ছিন্ন ২৩৩ রানের জুটি গড়েই দলকে বড় পুঁজি এনে দেন এ দুই ব্যাটার। ১৯৪ বলে গড়া এই জুটিটি এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও বটে।

আগের দিন ২৪.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৭ রান করার পর বৃষ্টি নেমেছিল মাঠে। যে কারণে রিজার্ভ ডে'তে গড়িয়েছিল ম্যাচটি। এদিনের শুরুতেও বৃষ্টি বাগড়া দেয়। এরপর বৃষ্টি থামলে শুরু থেকেই অসাধারণ ব্যাটিং করতে থাকেন দুই অপরাজিত ব্যাটার কোহলি ও রাহুল।

এদিন নিজেও একটি রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। দ্রুত ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ২৬৭ ইনিংস খেলে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন কিংবদন্তি সচিন টেন্ডুলকার। মজার ব্যপার তিনিও এই মাইলফলকে পৌঁছানোর দিনে ম্যাচটি খীলছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।

এই ম্যাচে ১৩ হাজারের ক্লাব থেকে ৯৮ রান দূরে থেকে ব্যাটিং করতে নামেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরি তুলেই এ রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। নিজের ইনিংস সাজাতে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। কলম্বোর মাঠে এ নিয়ে টানা চতুর্থ শতরান পেলেন এই ব্যাটার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহুল। ১০৬ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।

তবে এদিন মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলের অন্যতম ভরসা পেসার হারিফ রউফ ছিটকে যান চোটের কারণে। আগের দিনই চোটে পড়েন তিনি। যে কারণে গত সন্ধ্যায় এমআরআই করানো হয় তার। চোটের অবস্থা অবশ্য পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না ম্যানেজমেন্ট। এই ম্যাচে আর বোলিং করেননি তিনি। আর নিজের শেষ ওভারে বল করতে এসে চোটে পড়ে স্পেল শেষ করতে পারেননি নাসিম শাহও।

Comments

The Daily Star  | English

Mob beating at DU: Six students confess involvement

Six students of Dhaka University, who were arrested in connection with killing of 35-year-old Tofazzal Hossain inside their hall on Wednesday, confessed to their involvement in the crime before a magistrate

3h ago