ছয়ে ব্যাটিং উপভোগ করছেন মুশফিক

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাঝে সময়টা ভালো কাটছিল না মুশফিকুর রহিমের। বিশেষকরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। যে কারণে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর ছেড়ে দিতে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণ। ওয়ানডেতেও তার দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সমালোচকদের দিয়েছেন পাল্টা জবাব। ছয়ে নেমে দুর্দান্ত দুটি ইনিংসে ফিরে পেয়েছেন পুরনো ছন্দ।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম আমলে অনেকবারই ছয়ে ব্যাট করেছেন মুশফিক। তবে তার যাওয়ার পর বেশির ভাগ সময় চারেই ব্যাট করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময় খেলেছেন এই পজিশনেই। মোট ২২৯ ইনিংসের মধ্যে ১১৭টি ইনিংস। সেখানে ৪২.৩৯ গড়ে করেছেন ৪৩৬৭ রান।

তবে ছয় নম্বরেও বেশ সফল মুশফিক। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে পর্যন্ত ৫৩ ইনিংসে ৩৫.৫৬ গড়ে করেন ১৪৫৮ রান। তবে এর আগে এতো বিধ্বংসী ছিলেন না যতোটা হয়েছেন শেষ দুই ম্যাচে। এই সিরিজেই যেন দেখা যায় আরেক মুশফিককে। ২৬ বলে ৪৪ রানের পর ৬০ বলে খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। যা দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

সবমিলিয়ে ছয় নম্বর ব্যাটিং করা বেশ উপভোগ করছেন মুশফিক, 'ছয় নম্বরে ব্যাটিং করাটা আমার জন্য ভালো সুযোগ ছিল। আমার যতটুকু মনে পরে আগেও আমি এটা করেছি।'

ভালো উইকেটে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এতোটা বিধ্বংসী হতে পেরেছেন বলে জানান তিনি, 'আমার মনে হয় শুরুর দিকে উইকেট খানিকটা ভেজা ছিল। কিন্তু আমাদের ওপেনার, তিন কিংবা চারে যারা খেলেছে তারা দারুণ ব্যাটিং করেছে। এমন উইকেটে ব্যাটিং করাটা আমি উপভোগ করেছি। কারণ ব্যাটিং করার জন্য বেশ ভালো উইকেট ছিল। আমি শুধু আমার দক্ষতা কাজে লাগিয়েছি।'

আর এমন ইনিংস খেলে নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে মুশফিকের, 'সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগায়। কারণ যখন হৃদয়, শান্তর মতো তরুণরা যখন রান করে তখন প্রথম বলে গিয়েই মারার সুযোগ করে দেয়। এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। আমাদের আসলে কোনো চাপ নেই। আমরা শুধু যাই আর নিজেদের প্রকাশ করি।'

'আপনি যখন ওইরকম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করবেন এবং অপরপ্রান্তে একজন তরুণ থাকবে তখন সেটা উপভোগ্য। আশা করি আমি এটা বয়ে নিতে পারবো,' যোগ করেন মুশফিক।

শেষ ম্যাচেও একই ধাঁচে ব্যাটিং করবেন কি-না জানতে চাইলে বলেন, 'এটা আসলে পুরোটা কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে। আমরা সবশেষ দুই-তিন সিরিজে এমন স্পোর্টিং কন্ডিশনে খেলিনি। সেখানে স্পিনার ও পেসারদের জন্য সুবিধা ছিল। আমার মনে হয় এবারই প্রথম ব্যাটিং করার উইকেট এত ভালো ছিল। আমরা নিজেদের একপ্রেস করতে চাই। দেখা যাক ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে কতদূর যেতে পারি।'

এমন ব্যাটিংয়ের ধারা বিশ্বকাপেও থাকবে বলে আশা করেন তিনি, 'এখন পর্যন্ত বেশ ভালো। নতুন কোচ এসেছে, তার সঙ্গে আমাদের বন্ডিংটা ভালো। আশা করি আমরা পুরো বছর এই মোমেন্টাম ক্যারি করতে পারবো। আমার মনে হয় ভালো একটা দল নিয়েই বিশ্বকাপে যাবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Under pressure, UK govt unveils flagship immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

51m ago