দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন

সাকিব-মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের দাপট 

বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরি বাংলাদেশের।  ২৭ ওভার খেলে ১ উইকেটে এই সেশনে ১৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া বাংলাদেশ পিছিয়ে আর কেবল ৪৪ রানে। ৭৪ বলে ৭৪ করে অপরাজিত আছেন সাকিব, ৭৭ বলে ৫৩ করে খেলছেন মুশফিক। 
Shakib Al Hasan
সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিং। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের শুরুটা ছিল না ভালো। মুমিনুল হকের দ্রুত বিদায়ে খানিকটা চাপও বেড়েছিল। সেই চাপ যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে আগ্রাসী জুটিতে খেলার পরিস্থিতি বদলে দিলেন তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে সাকিব দলকে নিয়ে যাচ্ছেন দাপুটে অবস্থায়। সাকিবের মতো অতটা আগ্রাসী না খেললেও সাবলীল খেলে ফিফটি পেয়ে গেছেন মুশফিকও। 

বুধবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন পুরোপুরি বাংলাদেশের।  ২৭ ওভার খেলে ১ উইকেটে এই সেশনে ১৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া বাংলাদেশ পিছিয়ে আর কেবল ৪৪ রানে। ৭৪ বলে ৭৪ করে অপরাজিত আছেন সাকিব, ৭৭ বলে ৫৩ করে খেলছেন মুশফিক। 

২ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ১২ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল। তার সঙ্গে সকালে ব্যাট করতে নামেন মুশফিক। মুশফিক সমঝে খেললেও পা হড়কে যায় মুমিনুলের। 

দিনের তৃতীয় ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারকে লেগ স্টাম্প ছেড়ে গার্ড নিয়ে খেলছিলেন মুমিনুল। লেগ স্টাম্পের বল ব্যাটে নিতে না পেরে স্টাম্প খোয়ান তিনি। ৩৪ বলে ১৭ করে ফেরেন বাঁহাতি টপ অর্ডার। ৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। 

Mushfiqur Rahim

পাঁচে নেমে এরপর আগ্রাসী ধরণে খেলতে থাকেন সাকিব। নেমেই পান বাউন্ডারি। চিরচেনা পথে বারবার ঝুঁকির দিতে যেতে দেখা যায় তাকে। আলগা বল পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি, মাঝে মাঝে বাউন্ডারি পেতে বাড়তি চেষ্টাও করছিলেন তিনি। 

আইরিশ বোলারদের আলগা বল কাজে লাগিয়ে রানের চাকা বাড়াতে থাকেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে দ্রুতই পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়ে গেছেন এই দুজন। 

বাউন্ডারির ঝলকানি ৪৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সাকিব। আইরিশ স্পিনাররা তেমন কোন হুমকি দিতে না পারায় রানের গতি ছিল চড়া। ওভারে তিনটা করে আলগা বল দিচ্ছিলেন তারা। যা সীমানা পার করতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হচ্ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটারদের।  সাকিব-মুশফিক জুটিতে এসে গেছে শতরান। তাতে হয়েছে একটি রেকর্ডও। টেস্টে জাভেদ ওমর-হাবিবুল বাশারের সর্বোচ্চ পাঁচটি শতরানের জুটি স্পর্শ করেছেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিক এই নিয়ে ১২টি শতরানের জুটি এসেছে তাদের। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। 

Comments

The Daily Star  | English
expediency

Expediency triumphs over principle in electoral politics

It appears that all of the ruling party’s efforts revolve around the next election, not considering longer-term ramifications for the itself.

6h ago