জানি না কী নিয়মে নট আউট দিয়েছে: নাসির
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দুটি বিষয় তুলে ধরলেন ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক নাসির হোসেন। যার একটি মুশফিকুর রহিমের সম্ভাব্য আউট নিয়ে। যেটা তাদের পক্ষে গেলে হয়তো বদলে যেত ম্যাচের ফলাফল। তবে সেই সিদ্ধান্ত কেন তাদের পক্ষে যায়নি তা জানেন না ঢাকা অধিনায়ক।
আইসিসির নিয়মকে তোয়াক্কা না করে কিছু ভিন্ন নিয়মেই চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। যে নিয়মগুলো সম্পর্কে ঠিকঠাকভাবে কোচ ও খেলোয়াড়রাও যে জানেন না তা আগেই প্রতীয়মান হয়েছে। এ নিয়মের ধোঁয়াশা নিয়ে কথা বললেন নাসিরও। অবশ্য বিপিএলে এডিআরএস নিয়ে বিতর্ক এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিলেটের ইনিংসে ১২তম ওভারের শুরুতে আরাফাত সানির ফ্লাইটেড ডেলিভারি কিছুটা এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বল মিস করায় প্যাডে লাগলে আবেদন করেন সানি। আম্পায়ার সাড়া না দিলে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন তিনি। রিপ্লেতে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে ছিল ইমপ্যাক্ট। বল স্টাম্প মিস করতো কি-না স্পষ্ট বোঝা না গেলে ব্যাটারের পক্ষেই থাকে সিদ্ধান্ত। যদিও বল শেষ পর্যন্ত স্টাম্প মিস করতো কি-না প্রযুক্তি না থাকায় তা বোঝার উপায় ছিল না। তবে বাঁহাতি বোলার হওয়ায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সূর মেলান টিভি আম্পায়ার।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত মেনে নিলেও মাঠে কিছুটা অসন্তোষ ঝরে ঢাকা অধিনায়কের কণ্ঠে, 'বড় স্ক্রিনে দেখে আমার মনে হয়েছিল আউট। তবে আম্পায়ার সেটা নট আউট দিয়েছে, আমি জানি না সেটা কী নিয়মে নট আউট দিয়েছে। কিন্তু আমরা আম্পায়ারদের সম্মান করি, তাদের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিবো।'
টার্নিং পয়েন্টের অপর বিষয়টি নিজেদের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে বলেছেন নাসির। প্রতি ম্যাচেই টপ অর্ডার ব্যর্থ তাদের। পরে মিডল অর্ডারের ব্যাটে চড়ে কোনো মতে লড়াই করার পুঁজি মিলছে দলটির। বোলারদের সৌজন্যে সে পুঁজি নিয়ে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেছে না তারা। নাসির তাই দায় দিলেন টপ অর্ডার ব্যাটারদেরও।
'আমরা টপ অর্ডার থেকে সাহায্য পাচ্ছি না। আপনি সিলেটের কথা ধরেন, ওরা প্রতি ম্যাচেই ভালো খেলছে। আমরা সে সমর্থনটা পাচ্ছি না। (যদি) ভালো স্টার্ট পাই, ধরেন প্রথম ছয় বা দশ ওভারে ৮০ রান ১ উইকেটে তাহলে আমরা ভালো করতে পারব। আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামি, তখন দশ ওভারে রান ৬০-৬৫ উইকেট চলে গেছে ৪-৫ টা। ওখান থেকে ১৬০-১৭০ রান করার কাজটা কঠিন হয়ে যায়,' বললেন নাসির।
Comments