জোরে বল করতে নিয়মিত ডিম খান হারিস রউফ
বর্তমান সময়ের অন্যতম গতিময় বোলার পাকিস্তানের হারিস রউফ। বিশেষকরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন এ পেসার। আর এই গতির ঝড় তুলতে খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিনের উপর বিশেষ জোর দেন তিনি। নিয়মিত ডিম খান বলেই জানান এ পাকিস্তানি।
প্রথমবারের মতো এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে এসেছেন হারিস। তবে জাতীয় দলের খেলা থাকায় এবার আসরের শুরুতে তাকে পাওয়া যায়নি। রংপুর রাইডার্সের হয়ে মঙ্গলবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেললেন এ পেসার। তবে হার দিয়েই আসর শুরু করতে হয়েছে তাকে।
তবে যথারীতি গতির ঝড় তুলেছেন হারিস। এদিন তার সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারিটি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির। চার ওভার বল করে উইকেটশূন্য থাকলেও খরচ করেন মাত্র ১৯ রান। তবে মাত্র ১৩০ রানের লক্ষ্য দিয়ে খুলনাকে ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলতে বাধ্য করেন হারিস। নিখুঁত গতি এবং বাউন্স দিয়ে খুলনার ব্যাটসম্যানদের সময় কঠিন করে দেন এ পেসার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয় তার দ্রুত বোলিং করার রহস্য। উত্তরে হারিস বলেন, 'দেখুন, গতি সবসময় সহজাত। ট্রেনিং ও ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ খেলার পর রিকভারিটা গুরুত্বপূর্ণ। হোটেলে ফেরার পর আপনার ভালো ঘুম, ভালো ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ।'
'পেস বাড়াতে চাইলে... আপনি যদি ১৩০-১৩৫ কিমিতে বোলিং করেন, তাহলে আরও ৫ কিমি বাড়াতে পারবেন। এমন না যে ৬-৮ মাসের ট্রেনিংয়ের পর আপনি ১৩০-১৩৫ থেকে ১৫০ কিমিতে বোলিং করতে পারবেন। এটি মূলত ৫ থেকে ১০ কিমি বাড়ানোর বিষয়। ডায়েট ও ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ,' যোগ করেন এ পেসার।
নিজে কি খান জানতে চাইলে শক্তি অর্জনের জন্য যথেষ্ট প্রোটিনের কথা উল্লেখ করেন হারিস, 'আমার ইন্টার্ভিউ দেখলে পাবে (হাসি)... ডিম খাই। ডিম থেকে মূলত প্রোটিনটা নেই। ফাস্ট বোলারের জন্য প্রোটিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরে পরিমিত প্রোটিন থাকলে আপনি মাঠে ভালো পারফর্ম করবেন।'
পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলনের কথাটাও বলেন তিনি, 'নেটে বোলিংয়ের সময় নিজের ওপর একটা চাপ তৈরি করে নিতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ। অনুশীলনে ঠিকঠাক করে ফেলতে পারলে মাঠে তা করা সহজ হয়। দিনের পর দিন করতে থাকলে উন্নতি হয়। আমারও ধীরে ধীরে আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।'
Comments