জয়ের ব্যাটে খুলনার জয়

বাংলাদেশ জাতীয় দলে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচিত হলেও টি-টোয়েন্টি সংস্করণটাও যে খারাপ খেলেন না, তা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দেখিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এদিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেললেন আরও একটি দারুণ ইনিংস। দারুণ ব্যাট করেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক ইয়াসির আলীও। তাতে আরও একটি দারুণ জয় পেয়েছে তার দল খুলনা টাইগার্স।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচিত হলেও টি-টোয়েন্টি সংস্করণটাও যে খারাপ খেলেন না, তা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই দেখিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এদিন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেললেন আরও একটি দারুণ ইনিংস। দারুণ ব্যাট করেন তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক ইয়াসির আলীও। তাতে আরও একটি দারুণ জয় পেয়েছে তার দল খুলনা টাইগার্স।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ইয়াসির আলী রাব্বির দল।

আসরে টানা তিনটি হারের পর টানা দুটি জয় তুলে নিল খুলনা। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় হার চট্টগ্রামের। দুই দলেরই পয়েন্ট এখন ৪।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন শুরুটা ভালো ছিল না খুলনার। আবারও দলকে হতাশা উপহার দেন মুনিম শাহরিয়ার। ফেরেন খালি হাতে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন এ দুই ব্যাটার।

তবে খুলনার স্বপ্নে ধাক্কা দেন নিহাদুজ্জামান। ১৩তম ওভারে বল হাতে নিয়ে তামিমকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন তিনি। এক ওভার পর ফিরে আরেক সেট ব্যাটার জয়কেও তুলে নেন তিনি। তাতে ম্যাচে ফিরেছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু এরপর আজম খানকে নিয়ে অধিনায়ক ইয়াসির আলী বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন জয়। ৪৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটার। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন তামিম। ১৭ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টী উইকেট পান নিহাদ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চট্টগ্রাম। দলীয় ৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্স ও'ডয়েড। এরপর আফিফ আহমেদকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন আরেক ওপেনার উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। উসমানকে নাসুমের ক্যাচে পরিণত করে এ জুটি ভাঙেন আমাদ বাট।

এরপর দাসউইস রাসুলিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আফিফ। তৃতীয় উইকেটে ৩ রানের জুটি গড়েন তারা। এ জুটি ভাঙেন ওয়াহাব রিয়াজ। আফিফকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আর এ জুটি ভাঙতেই ওয়াহাবের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করতে ৭টি উইকেট হারায় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন উসমান। ৩১ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। ৩১ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করেন আফিফ। এছাড়া রাসুলির ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। শেষ দিকে ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২১ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন ফরহাদ রেজা।

খুলনার পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় ৪টী উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। ২টি শিকার সাইফউদ্দিনের।   

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

2h ago