'সাকিব ভাই হলে হয়তো ম্যাচটা জিতিয়ে দিত'
জয় থেকে তখন মাত্র ৫ রান দূরে খুলনা টাইগার্স। শেষ ওভারে তখন হাতে আসলেন নিহাদুজ্জামান। প্রথম ডট আদায় করে নেন। পরেরটি করেন ফ্লাইটেড ডেলিভারি। তবে লংঅফের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলী। আর তাতে বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিজের পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন নিহাদ। সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা হয়তো এখান থেকেই ম্যাচ বের করে ফেলতে পারতেন বলে মনে করেন এ স্পিনার।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পেয়েও পুঁজিটা খুব বড় করতে পারেনি চট্টগ্রাম। ১৫৭ রান করে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল খুলনা। তবে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে এ দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন নিহাদই। কিন্তু সতীর্থদের পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় হারতেই হয় তাদের।
ম্যাচ শেষে তাই আক্ষেপই ঝরে তরুণ স্পিনারের কণ্ঠে, 'আমি খুব ভালো প্ল্যাটফর্মে ছিলাম। ছোট বেলা থেকে, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯... বিশ্বকাপও খেলেছি, এইচপিতে ছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার জীবনে পরপর কয়েকটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। চোটেও পড়েছি আমি। আমার বাম হাত ভেঙে গিয়েছিল। অ্যাকশন পরিবর্তন করতে হয়েছিল। আমি আমার জীবনের খুব বাজে সময় পার করেছি। আমার জন্য ফেরার খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম এটা। শেষ দুটা বিপিএল গ্যাপ গিয়েছে, তো আমার জন্য এটা খুবই একটা বড় সুযোগ।'
'আজকের ম্যাচে হিরো হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রত্যেকদিন সবার জীবনে এই সুযোগ আসে না। এইখানে বড় খেলোয়াড় আর ছোট খেলোয়াড়ের পার্থক্য। সাকিব ভাই হলে হয়তো ম্যাচটা জিতিয়ে দিত। সে কারণেই সাকিব ভাই বিশ্বসেরা। তবে চেষ্টা করব পরের বার যখন সুযোগ পাব, তখন কাজে লাগানোর, হিরো হওয়ার,' যোগ করেন এ তরুণ।
তবে নিজেদের পুঁজিটাই কিছুটা কম হচ্ছে বলে মনে করেন নিহাদ, 'সত্যি বলতে আজকে যে শুরুটা হয়েছে আমাদের, সেখান থেকে ১৭০-১৮০ খুব সম্ভব ছিল। বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা শুরুটা ভালো করছি। ফিনিশিংও মোটামুটি ভালো হচ্ছে, কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সেটা ধরে রাখতে পারছে না। এজন্যে আমাদের প্রতি ম্যাচেই ১০-১৫টা রান কম হচ্ছে।'
Comments