‘এরকম উইকেট থাকলে খেলোয়াড়দের জন্য ভালো’
বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে দেখা গেছে মিশ্র ছবি। কিছু ম্যাচে দেখা গেছে বড় রান, কিছু ম্যাচে হয়েছে লো স্কোরিং। তবে সব মিলিয়ে উইকেটকে বেশ ভালো বলে রায় দিলেন এই পর্বে দুবার দুইশো ছাড়ানো পুঁজি পাওয়া ফরচুন বরিশালের কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মোট ১২ ম্যাচের মধ্যে দুবার দেখা গেছে দুইশো ছাড়ানো সংগ্রহ। দুটিই করে দেখিয়েছে বরিশাল। একদম প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তারা করে ২০২ রান। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আরেক ম্যাচে তারা তুলে ২৩৮ রান। এই আসরের সর্বোচ্চ তো বটেই, বিপিএলের সব আসর মিলিয়েও যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ভেন্যুটিতে নিজেদের বাকি দুই ম্যাচেও ১৭০ ছাড়ানো পুঁজি পায় সাকিব আল হাসানের দল।
১৮০ রানের বেশি করতে দেখা গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ১৬০-১৭০ এর ঘরে কিছু ইনিংস ছিল। তবে চারটি ম্যাচে ১৩০ রানের পুঁজি নিয়েও দলগুলোকে লড়াই করতে দেখা গেছে। এসব ম্যাচে উইকেটের আচরণ ছিল কিছুটা মন্থর।
ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭৩ রান করে বরিশাল। ম্যাচ জেতে ১৩ রানে। খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ফাহিম জানান, তাদের হিসেবে উইকেট বেশ ভালো, 'আমরা যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, আমার মনে হয় না আমাদের দলের কেউ অভিযোগ করবে (উইকেট নিয়ে) । টি-টোয়েন্টিতে যে ধরণের উইকেট থাকার কথা মোটামুটি আমরা সেরকম উইকেটই পেয়েছি। মাঝে মাঝে খুব ভালো পেয়েছি, মাঝে মাঝে ভালো পেয়েছি।'
কয়েকটি ম্যাচে মাঝারি রান, কিছু ম্যাচে মামুলি সংগ্রহ হওয়ার পেছনে উইকেট থেকেও দলগুলোর পারফরম্যান্সের ঘাটতি দেখেন এই অভিজ্ঞ কোচ, 'কিছু দল হয়ত পারফর্ম ভাল করতে পারছে না তখন তারা বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারে না। যে দল তিন-চার ম্যাচ হেরে গেছে, আমরা দুইশো রান করব এরকম চিন্তা নিয়ে তারা মাঠে নামতে পারে না। তারা হয়ত ১৫০-১৬০ রান করতে পারলে সুযোগ থাকবে। আমরা চাই বড় রান করতে। আমরা ভালো ফল পাচ্ছি। সেটা আমাদের আরও বেশি উৎসাহ যোগাচ্ছে বড় শট খেলার জন্য। উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও আমরা বড় শট খেলার চেষ্টা করি। সামনেও করব।'
'উইকেট বেশ ভালো ছিল। টি-টোয়েন্টিতে এরকম উইকেট থাকলে সেটা খেলোয়াড়দের জন্য ভালো। দর্শকদের জন্য ভালো। এবং টুর্নামেন্টের জন্য ভালো।'
Comments