মালিকের ঝড়ের জবাব দিতে পারলেন না শুভগতরা

shoaib malik
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চাপে পড়া রংপুর রাইডার্সকে টেনে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। তার ব্যাটে পাওয়া চ্যালেঞ্জিং পুঁজির জবাবে নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও। ঝড় তুলে বিপদগ্রস্ত দলের আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক শুভগত হোম। তবে তার বিদায়ের পর আর লড়াই জমাতে পারেনি তারা।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাটিং পেয়ে মালিকের ৪৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ১৭৯ রান করে রংপুর। জবাবে ২১ বল আগে ১২৪ রানে থেমে যায় চট্টগ্রাম।  ৩১ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত।

১৮০ রান তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। টুর্নামেন্টে তাদের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার উসমান খান এক বাউন্ডারি মেরেই ফিরে যান। রাকিবুল হাসানের বলে কট বিহাইন্ডের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি।

অভিষিক্ত তৌফিক খান তুষার ক্রিজে এসে নড়বড়ে উপস্থিতি থামান ৪ বল খেলে। পাকিস্তানি খাওয়াজা নাফিও পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি। রাকিবুলের বলে আউট হয়েছেন অদ্ভুতভাবে। খানিকটা এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন। ফলো থ্রোর একটা পর্যায় পর্যন্তও পা ভেতরে ছিল তার। কিপার নুরুল হাসান সোহান বল ধরে অপেক্ষা করছিলেন, শরীরের ভারসাম্য রাখতে পা উঠে গেলে তখন বেল ফেলে দেন সোহান।

১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যাওয়া চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শুভাগতের ঝড়ে। রাকিবুলকে ছক্কা মেরে শুরুর পর আজমতুল্লাহকেও মারেন চান। পরে হারিস রউফের এক ওভারে তিন চার মেরে উত্তাপ ছড়ান তিনি। হাসান  মাহমুদ, মোহাম্মদ নাওয়াজের পাঠান গ্যালারিতে।

চতুর্থ উইকেটে শুভাগত-দারবিশ রাসুলের জুটিতে আসে ৪০ বলে ৬৬। যাতে ২৪ বলে ৪৫ রানই শুভাগতর। এই জুটিটা ম্যাচকে বিপদজনক দিকে নেওয়ার আগেই সাফল্য পেয়ে যায় রংপুর। হারিসের শিকার হয়ে বিদায় নেন রাসুলি। ১৭ বলে ২১ করে থামেন তিনি।

অসুস্থতার কারণে আফিফ হোসেন ব্যাট করতে না নামায় ছয়ে পাঠানো হয় জিয়াউর রহমানকে। নেমেই ঝড় তুলেন তিনি। তার উপস্থিতি অবশ্য ছিল সীমিত। ১২ বলে ১ চার,  ৩ ছয়ে ২৪ করে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।

২৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করে শুভাগতও বিদায় নিলে ম্যাচে আর থাকতে পারেনি চট্টগ্রাম। শেষ দিকে তফাৎ গড়ে দেওয়ার মতো তাদের দলে আর কোন ব্যাটার ছিলেন না। আফিফের অভাব টের পেতে থাকে তারা।

টস জিতে বোলিং নিয়ে ইনিংসের একদম প্রথম ওভারেই শেখ মেহেদীকে তুলে নিয়েছিলেন শুভাগত হোম। তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমনও বেশিক্ষণ টেকেননি। ১ রানে সহজ ক্যাচ তুলে জীবন পেয়ে তিনি থামেন ৬ রান করে।

তবে শোয়েব মালিকের সঙ্গে মিলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন নাঈম শেখ। বেশ ভালো কয়েকটি শটে ইনিংস টানতে থাকলেও তার ইনিংস বড় হয়নি। ২৯ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ভিজয়াকান্ত ভিয়াশকান্তের লেগ স্পিন ক্যাচ তুলে ফেরেন নাঈম।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানো রংপুর এরপর ঘুরে দাঁড়ায় শোয়েব মালিক ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের দারুণ জুটিতে। চতুর্থ উইকেটে প্রতি আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের উপর চাপ সরিয়ে ভালো অবস্থান চলে যান তারা। বিশেষ করে অভিজ্ঞ মালিকের ব্যাট ছিল দুর্বার। তাইজুল ইসলামের বাঁহাতি স্পিনে সোজা ব্যাটে তিনি মেরেছেন চার ছক্কা। ছক্কা পিটিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির পেসেও।

চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে তারা যোগ করেন ১০৫ রান। ২৪ বলে ৪২ করে মেহেদী হাসান রানের বলে ওমরজাইয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। তবে মালিক আর আউট হননি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে পাইয়ে দেন চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago