নাসিমের তোপে টানা চতুর্থ জয় কুমিল্লার
খেলার কথা ছিল খুলনা টাইগার্সের হয়ে। কিন্তু টেকনিক্যাল কারণে শেষ পর্যন্ত দল বদলে এলেন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সে। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দলে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচেই নায়ক নাসিম শাহ। এই পাকিস্তানি পেসারের বোলিং তোপে বিধ্বস্ত হয় ঢাকা ডমিনেটর্স। তাতে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিল কুমিল্লা।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৬০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে তারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি নাসির হোসেনের দল।
টানা তিনটি হারের পর টানা চতুর্থ জয় কুমিল্লার। সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে রয়েছে ঢাকা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতলেও এরপর টানা ছয়টি ম্যাচে হারল ঢাকা।
নাসিমের তোপে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ঢাকা। ওপেনার মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত ৫ রানে বোল্ড করে শুরু। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। মাঝে যথারীতি হতাশ করে ফেরেন সৌম্য সরকার। আবু হায়দার রনির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে খুশদিল শাহর হাতে ধরা পড়েন লংঅনে।
তবে ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন উসমান গনি। ২৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু চলতি আসরে দারুণ ছন্দে থাকা নাসির এদিন পারেননি পর্যাপ্ত সহায়তা করতে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে খুশদিল শাহর বলে আউট হন নাসিম শাহকে ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে। আরিফুলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় শিকার ধরেন খুশদিল।
এরপর আবার নাসিমের তোপ। ১৬তম ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন মুক্তার আলী ও আমির হামজাকে। তবে পরের বলটি রুখে দিয়ে হ্যাটট্রিক হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তিনি ফিরেছেন পরের ওভারেই। মুকিদুল ইসলামের বলে ব্যাটের কানায় লাগলে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তবে এক প্রান্তে আগলে চেষ্টা করেছিলেন উসমান। তার লড়াই কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন উসমান। ৩৪ বলে ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া নাসির ১৭ ও আল-আমিন হোসেন অপরাজিত ১৪ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন নাসিম। ২টি উইকেট পান খুশদিল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় কুমিল্লা। দলীয় ৪ রানে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান বোল্ড হয়ে যান আল-আমিনের বলে। এরপর অবশ্য ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লা।
লিটন দাসের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামনে নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। লিটনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাসির। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন আরিফুল হকের হাতে। এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে আমির হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন খুশদিল শাহ। আর জাকের আলীর সঙ্গে আবু হায়দার রনির অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটিতে দল পায় লড়াইয়ের পুঁজি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন চার্লস। ২৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান করেন খুশদিল। ইমরুল করেন ২৮ রান। শেষদিকে ১০ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন জাকের। ঢাকার পক্ষে ১৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান নাসির।
Comments