শেষ বলে মোসাদ্দেকের কী পরিকল্পনা তা জানতেন ইয়াসির

জয়ের জন্য ১ বলে ৬ রান লাগত খুলনা টাইগার্সের। স্ট্রাইকে থাকা অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি জানতেন যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ইয়র্কার ডেলিভারি করবেন। সেই পরিকল্পনা সফল না হলেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিনারকে সীমানাছাড়া করার ভাবনা মাথায় রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অফ স্টাম্পের বাইরে অনুমিত ইয়র্কার ডেলিভারিই করেন মোসাদ্দেক। এতে ১ রানের বেশি নেওয়া সম্ভব হয়নি ইয়াসিরের।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জয়ের জন্য ১ বলে ৬ রান লাগত খুলনা টাইগার্সের। স্ট্রাইকে থাকা অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি জানতেন যে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ইয়র্কার ডেলিভারি করবেন। সেই পরিকল্পনা সফল না হলেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিনারকে সীমানাছাড়া করার ভাবনা মাথায় রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অফ স্টাম্পের বাইরে অনুমিত ইয়র্কার ডেলিভারিই করেন মোসাদ্দেক। এতে ১ রানের বেশি নেওয়া সম্ভব হয়নি ইয়াসিরের।

বিপিএলে শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে কুমিল্লার কাছে ৪ রানে হেরেছে খুলনা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান করে কুমিল্লা। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে খুলনা। ইয়াসির ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৩ চার ও ১ ছক্কা।

শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৭ রান। প্রথম বলে ডট দিয়ে দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নেন ওয়াহাব রিয়াজ। স্ট্রাইক পেয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা দুটি চার মারেন ইয়াসির। পঞ্চম বলে তিনি নেন ডাবল। এরপর অবশ্য শেষ বলে ছক্কার সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি তার পক্ষে।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসির জানান, আগে থেকে বুঝে যাওয়ায় মোসাদ্দেকের পরিকল্পনা একটু এদিক-ওদিক হলেই সজোরে হাঁকানোর জন্য তৈরি ছিলেন তিনি। তবে সেই সুযোগ আর আসেনি, 'এক বলে ছয় রান লাগে ম্যাচ জিততে। তার পরিকল্পনা আমি জানতাম, সে ব্লকে করবে। ওখানে তো বাস্তবায়ন করা কঠিন সবসময়। আর সে স্পিনার। একটা যদি এদিক-ওদিক হয়, আমি মারতে পারব।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বাজে সময় পার করছেন ইয়াসির। চলমান বিপিএলেও দুই-একটি ইনিংস বাদে নিজেকে তিনি মেলে ধরতে পারছেন না সেভাবে। এটা নিয়ে কষ্টে থাকলেও ভেঙে পড়ছেন না তিনি, নিজেকে রাখছেন উজ্জীবিত, 'ভেঙে পড়িনি। কষ্ট তো লাগে সব সময়। খারাপ তো লাগে যখন খারাপ খেলি। ভেঙে পড়ার মতো কিছু হলে তো জীবন চলবে না। ওরকম কিছু না। লাইফ ইজ নট অ্যা বেড অব রোজেস (জীবন কোনো ফুলশয্যা নয়)। খারাপ সময় আসবে, খারাপ সময় উতরাতে হবে। আমার চেয়ে বেশি খারাপ সময় আরও অনেকের গিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। নিজের ইতিবাচক জায়গা রাখার চেষ্টা করি, এটাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus sits with BNP delegation over reform commissions

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir is leading the six-member delegation at the State Guest House Jamuna.

49m ago