বিপিএলে ক্রিকেটের মান খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ: মালিক

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে শোয়েব মালিকের সম্পর্ক অনেক পুরনো। পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার এবার খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি আসরে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম ভাইকিংস ও রাজশাহী রয়্যালসের। তার দৃষ্টিতে, বিপিএলে ক্রিকেটের মান অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

এবারের আসরে ব্যাট হাতে ছন্দে আছেন ৪০ পেরিয়ে যাওয়া মালিক। বর্তমানে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সাতে আছেন তিনি। সাত ম্যাচে ৪৫ গড় ও ১৩৪.৭৩ স্ট্রাইক রেটে তার রান ২২৫। তার নামের পাশে হাফসেঞ্চুরি আছে দুটি। গত ২৩ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। বিপিএলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফে খেলার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছে তার দল রংপুরও। চার জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮। তারা আছে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ঘুরে বিপিএল এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এখানে রোববার অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মালিক। তিনি জানান, ব্যাটিংবান্ধব উইকেট না থাকা ও কন্ডিশনে ভিন্নতার কারণে বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট দেখা যায়, 'ক্রিকেটের মান এখানে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কারণ, ব্যাটসম্যানরা এখানে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট তেমন পায় না। কন্ডিশনও এখানে একেক জায়গায় একেকরকম। চট্টগ্রামে একরকম, ঢাকায় আরেকরকম, সিলেটে আবার ভিন্ন। একেক ভেন্যুতে একেকরকম কন্ডিশন পেলে খেলায় উন্নতির সেরা সুযোগ মেলে। এজন্যই বাংলাদেশে আসি এবং এখানে খেলি।'

প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশে অনেকবারই আসা হয়েছে মালিকের। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এখানকার ক্রিকেটের বদলে যাওয়া চোখে পড়ছে তার, 'বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক কিছুই বদলে গেছে। এখানকার ক্রিকেটের পরিচিতি আছে এখন বিশ্বের সব জায়গায়। তারাও তো এখন বিশ্বের নানা জায়গায় লিগগুলোতে সুযোগ পাচ্ছে। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশের সাফল্যের হার তো দুর্দান্ত।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রতিভার কোনো ঘাটতি দেখেন না মালিক। তবে তাদের উন্নতির জায়গাগুলোও তুলে ধরেন তিনি, 'একটা জায়গায় তাদের এখনও উন্নতির জায়গা আছে, তা হলো দেশের বাইরের পারফরম্যান্সে। তবে এই দেশে প্রতিভার কথা যদি বলি, যথেষ্টই আছে। এখন প্রয়োজন হলো তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া, যেন তারা নিজেদের খেলায় উন্নতি করতে পারে এবং দেশের বাইরেও ভালো করতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

FDI rose 20% in FY25

Bangladesh saw a rebound in foreign direct investment (FDI) in the fiscal year (FY) 2024-25, with net inflows reaching $1.71 billion.

2h ago