নিজের আউটকে আশীর্বাদ বললেন ইমরুল

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিততে হলে বিপিএলের রেকর্ড বই উলটপালট করতে হতো কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সকে। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় যখন লিটন দাস আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ফেরেন সাজঘরে, তখন মনে হয়েছে কার্যত তা অসম্ভবই। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ব্যাটার জনাথন চার্লসের বিধ্বংসী ইনিংসে সেই লক্ষ্যই হয়ে গেল মামুলী। তখন নিজের আউটকে দলের জন্য আশীর্বাদই মনে হয়েছে ইমরুলের।

ব্যাটিংয়ে নামলে রয়েসয়েই খেলার চেষ্টা করেন ইমরুল। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য কিছুটা হলেও বেমানান। প্রয়োজনে অবশ্য আগ্রাসী হতে পারেন তিনিও। উদাহরণও রয়েছে অনেক। কিন্তু এদিন টিকে গেলে কতোটুকু আক্রমণাত্মকই বা হতে পারতেন ইমরুল? বিশেষকরে পাওয়ার প্লের ব্যবহার করা। বাস্তব দৃষ্টিতে সেটা চার্লসের মতো তো দূরের কথা, কাছাকাছিও হয়তো নয়। সেটা ভেবেই আউট হয়েও স্বস্তি পাচ্ছেন কুমিল্লা অধিনায়ক। 

'লিটন দাস চোটে পড়ার পর উদ্বিগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ও যদি পাওয়ার প্লেটা ইউজ করে দেয়, ওর মতো ব্যাটার থাকলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন। তারপরে আমি গিয়ে চেষ্টা করেছিলাম অন্তত বল যাতে নষ্ট না হয়। আমি প্রয়োগ করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমি আউট হয়ে একটা আর্শিবাদের মতন হয়ে গেছে। কারণ চার্লস যে কাজটা করেছে, হয়তবা সেটা হতো না,' ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেন ইমরুল।

চার্লসের এমন ইনিংস দেখা চোখের জন্য তৃপ্তিদায়ক বলে জানালেন কুমিল্লা অধিনায়ক, 'সত্যি কথা বলতে ওর সঙ্গে ব্যাট করলে বেটার লাগত। কারণ সঙ্গী এমন মারতে থাকলে ফিলটা ভালো হয়। আমার মনে হচ্ছিল ২০১৭ সালে যখন ও আমাদের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে মারছিল আমরা তখন বাজে অবস্থায় ছিলাম। সেই ফিলটা নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। চার্লস এখন আমাদের হয়ে খেলছে। ফিনোমিনাল ইনিংস আসলে। এরকম ইনিংস সচরাচর দেখা যায় না। চোখের জন্য শান্তি।'

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান উৎসবের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। খুলনার দেওয়া ২১১ রান তাড়া করে জেতায় বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ায় নিজেদের আগের রেকর্ডই (২০৭) ভেঙেছে কুমিল্লা। আর তা সম্ভব হয়েছে চার্লসের ব্যাটে। ৫৬ বলে ৫ চার ও ১১ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ১০৭ রানের ইনিংস। তাকে দারুণ সহায়তা করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৩৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

তবে এমন বিশাল লক্ষ্য পেলেও শুরু থেকেই জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল ইমরুলের। ফিল্ডিং শেষে তা কোচ সালাহউদ্দিনকে জানিয়েছিলেনও তিনি, 'ফিল্ডিং করে যখন ড্রেসিংরুমে যাই, তখন কোচকে বলেছিলাম, "স্যার, আমরা আজ জিতব"। অনেক সময় এরকম রানের টার্গেটে একটা ভুল হলে মনে হয় হেরে যাব। আজ একটিবারের মতো মনে হয়নি হারব।'

Comments

The Daily Star  | English

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

NITOR is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

17m ago