খুলনাকে হারিয়ে জয়ের ধারায় সাকিবের বরিশাল

ইফতেখার আহমেদের ফিফটি ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রায় দুইশ ছুঁইছুঁই রান করে বরিশাল। সে লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি ছাড়া খুলনা টাইগার্সের হয়ে তেমন লড়াই করতে পারলেন না কেউই। ফলে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি তারা। এক ম্যাচ পর ফের জয়ের ধারায় ফিরল বরিশাল।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৩৭ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

এ জয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বরিশাল। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তাদের। অন্যদিকে এই হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল খুলনার। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় খুলনা। হতাশ করেন দলের অন্যতম সেরা তারকা তামিম ইকবাল। দলীয় ৩ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বালবির্নির সঙ্গে দলের হাল ধরেন শাই হোপ। ৪৪ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। বালবির্নিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। পরে ওভারে ফিরে মাহমুদুল হাসান জয়কে খালি হাতে ফেরান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব। এর পরের ওভারে হোপকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে খুলনাকে বড় চাপে ফেলে দেন খালেদ।

৫৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলটির হাল এরপর নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে ধরেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। ৮১ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান তারা। তবে রানের গতি সচল রাখতে পারেননি তারা। ফলে শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন হয় ৬০ রানের। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেউই। ইয়াসিরের বিদায়ে কার্যত তখনই হেরে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ রানে দূরে থামে তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন ইয়াসির। ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৭ রান আসে হোপের ব্যাট থেকে। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। নাহিদুল করেন ২৪ রান।

বরিশালের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পেয়েছেন করিম। ২টি শিকার খালেদ আহমেদের।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বরিশাল। ফজলে রাব্বির সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন পল ফন মিকারেনের বলে বোল্ড হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। এরপর ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৪১ রানের আরও একটি গড়ে আউট হন ফজলে। হাসান মুরাদের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন শফিকুল ইসলামের হাতে। তবে বরিশাল পেয়ে যায় বড় সংগ্রহের ভিত।

এরপর সে ভিতে ইমারত তৈরি করেন সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদ। উইকেটে নেমেই এ দুই ব্যাটার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে এ দুই ব্যাটার গড়েন ৫২ রানের জুটি। এরপর সাকিব বিদায় নিলে করিম জানাতের সঙ্গে ৫০ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে ইফতেখার। তাতে বড় পুঁজিই পেয়ে যায় সাকিবের দল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। ৩১ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন এ পাকিস্তানি ব্যাটার। ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২১ বলে ৩৬ রান করেন সাকিব। ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৮ বলে ৩টি চারে ১৬ রানের ক্যামিও খেলেন করিম।

খুলনার পক্ষে ৪৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন ফন মিকারেন।

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin hopes to get better results in meeting with US on tariff

'The final tariff will be fixed in the one-to-one negotiation with the USTR... The rate is not final yet...,' says finance adviser

36m ago