বিপিএল ২০২৩

ডট দেওয়ার জন্য বল করে ৫ উইকেট মুকিদুলের

Mukidul Islam Mugdho
৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এর আগে ৫ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। একাদশেও জায়গা ছিল না পাকা। ফরচুন বরিশালকে ধসিয়ে দিতে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবার এক ম্যাচেই নিলেন পাঁচ উইকেট। বিপিএলের এবারের আসরে প্রথমবার দেখা গেল ফাইফারের। ম্যাচ শেষে এই তরুণ পেসার জানালেন, উইকেট নেওয়া নয় তার পরিকল্পনা ছিল স্রেফ ডট বলের।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের একাদশে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের মতো পেসার। ছিলেন আন্দ্রে রাসেলও। মঙ্গলবার তাদের ছাপিয়ে যান তিনি।

সাকিব আল হাসানদের ১২১ রানে আটকে দিতে ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন মুকিদুল। অভিজ্ঞ সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ দুজনকেই করেন বোল্ড।  মুকিদুলের তোপে পাওয়া সহজ লক্ষ্য পেরিয়ে পরে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে কুমিল্লা।

ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে ২২ পেরুনো এই তরুণ পেসার জানালেন, তার পরিকল্পনা ছিল স্রেফ রান আটকে রাখা,  'আসলে আমি উইকেটের জন্য কখনো বল করি নাই। আমি ডট দেওয়ার জন্য বল করেছি। আমি জানতাম না যে আমি পাঁচ উইকেট পাব কারণ কেউ এটা জানতে পারে না। আমি আমার কাজটা করেছি। ডট দেওয়ার জন্য বল করেছি, লাইনলেন্থ ভালো রাখতে চেয়েছি। উইকেট চলে আসছে আরকি।' 

টুর্নামেন্টে নিয়মিত একাদশে থাকা হচ্ছিল না মুগ্ধের, পারফরমান্সেও ছিল না ধারাবাহিকতা। আগের ৫ ম্যাচে যেখানে ৪ উইকেট সেখানে এক ম্যাচেই নিলেন ৫ উইকেট। এর কারণ হিসেবে ভাগ্যকেও টানলেন তিনি,  'খেলাটাই এমন আপনি কোনদিন উইকেট পাবেন, কোনদিন পাবেন না। কোনদিন ভালো বল করবেন, কোনদিন করবেন না। এটা বলাটা কঠিন কোন বোলারদের জন্য যে আমি আজ ভাল করব। ভাগ্যকে পাশে পেতে হয়। ভালো কিছু করার জন্য ভালো জায়গায় বল করতে হয়।'

ঘরোয়া পর্যায়ে বেশ কয়েকজন পেসার পাইপলাইনে যোগাচ্ছেন ভরসা, মুকিদুল তাদের একজন। জাতীয় দল পর্যায়ে আসতে গেলে লড়াই তাই বেশ কঠিন, তবে সেটাতে ইতিবাচক দিক দেখছেন তিনি, 'অবশ্যই বাড়ায়। নিজেরও ভালো লাগে যখন দেখি অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। আমাদের নিজের কাছেও ভালো লাগে। আর মনে হয় কেউ আসছে আমাকেও উন্নতি করতে হবে। তখন সব কিছুই বাড়ে (ক্ষমতা) আরকি।'

Comments

The Daily Star  | English
yunus calls on youth to join politics

Yunus urges young people to engage more in politics

Yunus made the call when a group of young political activists from different political parties of Norway called on him at the state guest house Jamuna today

53m ago