টানা নবম জয়ে কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা
জিতলেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ। যেখানে ফাইনালে ওঠার জন্য একটি বাড়তি সুযোগ থাকছে। তাই শেষ চার নিশ্চিত হলেও দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে ম্যাচে লড়াইটাই জমিয়ে করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। তাদের সহজেই হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। এ নিয়ে টানা নবম জয় পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৭০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে তারা। জবাবে ১৭ ওভারে ১০৭ রান করেই গুটিয়ে যায় রংপুর।
এ জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল কুমিল্লা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পয়েন্টও সমান ১৮। তবে রান রেটে এগিয়ে আছে তারা। আগামী রোববার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে এই দলদুটি। একই দিনে প্রথম ম্যাচে এলিমিনেটর রাউন্ডে মোকাবেলা করবে রংপুর ও ফরচুন বরিশাল।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের সূচনাটাই ছিল বিবর্ণ। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। গড়ে ওঠেনি বলার মতো তেমন কোনো জুটি। এমনকি কোনো ব্যাটারও দায়িত্ব নিয়ে লড়াই করতে পারেননি।
ঘূর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে টপ অর্ডার ভাঙেন তানভির ইসলাম ও সুনীল নারিন। এরপর মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিন ওভার বল করে ১৮ রান খরচ করে এ পেসার তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া তানভির ও নারিনের শিকার দুটি করে।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ২২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া রনি তালুকদার, শামিম পাটোয়ারি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রকিবুল হাসানরা দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে বড় হার মানতে হয় দলটিকে।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার শুরুটা ছিল ভালো। ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। রিজওয়ানকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করে এ জুটি ভাঙেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। আর তিন নম্বরে নামা সুনীল নারিনকে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ড করে দেন রিপন মণ্ডল।
এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ে রকিবুল হাসানের বলে আউট হন লিটন। পরের ওভারে ফিরে আরেক সেট ব্যাটার ইমরুলকে ফেরান ওমরজাই। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল রংপুর। তবে পঞ্চম উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে খুশদিল শাহর ৭২ রানের জুটিতেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ৩৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। ২০ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন খুশদিল। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৩টি ছক্কায় ৩৪ রান করেন জাকের। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
রংপুরের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান ওমরজাই।
Comments