বিপিএল

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হেলসের সেঞ্চুরি ও সাইফের ফিফটি, জয়রথে রংপুর

ছবি: শেখ নাসির

ব্যাটিং স্বর্গে রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের ফিফটিতে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু সেই বড় সংগ্রহও যথেষ্ট হলো না। দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ বলে ১৮৬ রানের আক্রমণাত্মক জুটিতে জয়ের রসদ পেয়ে গেল রংপুর রাইডার্স। সাইফ হাসান ঝড়ো ফিফটি করে ফিরলেও অ্যালেক্স হেলস অপরাজিত থাকলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে।

সোমবার বিপিএলের এবারের আসরের সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে হয়েছে রান উৎসব। সিলেটের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে রংপুর। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতল রংপুর। জয়রথে থাকা দলটি রয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সিলেট হারল তাদের খেলা দুই ম্যাচেই।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের টস হেরে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৫ রান তোলে সিলেট। জবাবে ৬ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ২১০ রান করে জয় নিশ্চিত করে রংপুর। সীমানা কমিয়ে মাঠের আকার ছোট করে ফেলায় ব্যাটাররা পান বাড়তি সুবিধা।

বিপিএলে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। ২০২০ সালের আসরে মিরপুরে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করেই ৮ উইকেটে জিতেছিল খুলনা টাইগার্স। শীর্ষে অবস্থান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ২০২৩ সালের আসরে সিলেটেই খুলনার বিপক্ষে ২১০ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিল তারা।

ম্যাচসেরা ইংলিশ ওপেনার হেলস তাণ্ডব চালিয়ে অপরাজিত থাকেন ১১৩ রানে। বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সব মিলিয়ে সপ্তম। তার ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ছিল ২০১.৭৯। ৫৬ বল মোকাবিলায় ১০টি চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

বিপিএলে যে কোনো উইকেট জুটিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি হেলস গড়েন সাইফের সঙ্গে মিলে। জয় নাগালে থাকা অবস্থায় সাইফ আউট হন ৮০ রানে। চলতি আসরে এটি তার টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৪৯ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি মারেন তিনটি চার ও সাতটি ছক্কা। তার বিদায়ের পর ডাবল নিয়ে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন হেলস। আর থার্ড ম্যান ও ডিপ মিড-উইকেট দিয়ে টানা দুই ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। 

লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই আজিজুল হাকিম তামিমের উইকেট খোয়ায় রংপুর। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ৫ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। কিন্তু দলীয় ২ রানে আঘাত পাওয়ার ধাক্কা সামলে নেন হেলস ও সাইফ। দুজনের চার-ছক্কার বৃষ্টির বিপরীতে অসহায় হয়ে পড়ে সিলেট। দলটির বোলিং আক্রমণ খুঁজে পায়নি কোনো পাল্টা জবাব।

সিলেটের পক্ষে পেসার তানজিম হাসান সাকিব ২৩ রানে পান ২ উইকেট। তিনি ছাড়া বাকিরা ছিলেন এলোমেলো। রান বিলিয়ে দেন দেদার। এর আগে রংপুরের বোলাররাও সুবিধা করতে পারেননি রান সহায়ক পিচে। তাদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন সিলেটের ব্যাটাররা। তবে বিফলে যায় তাদের প্রচেষ্টা।

ওপেনার রনি ৩২ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ৫৪ রান। তিনে নামা জাকির ৩৮ বলে চারটি ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া, আমেরিকান ব্যাটার অ্যারন জোন্স ১৯ বলে একটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৮ ও জাকের আলী অনিক ৫ বলে তিনটি ছক্কায় ২০ রান করেন। দুজনই অপরাজিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Freedom fighter’s definition: Confusion, debate over ordinance

Liberation War adviser clarifies that Sheikh Mujib, Tajuddin, others in Mujibnagar govt are freedom fighters

13h ago