বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মান নিয়ে প্রশ্ন

Shubham Ranjane

শুভম রঞ্জন, ফারমানুল্লাহ কিংবা রিয়াজ হাসান। এসব ক্রিকেটারদের চট করে চেনা পাড় ক্রিকেট ভক্তদেরও বেশ কঠিন। কিন্তু এসব ক্রিকেটারদেরই এবার দেখা যাচ্ছে বিপিএলের। বাজে পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠছে তাদের মান নিয়ে।

এবার ঢাকার ফ্র্যাঞ্জাইজি ঢাকা ক্যাপিটালস প্রায় প্রতি ম্যাচেই দিচ্ছে চমক। সেই চমক মূলত তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের বিচিত্র সংগ্রহ দিয়ে। অন্য দলগুলোর অবস্থাও খুব একটা উন্নত তা বলার উপায় নেই। ঢাকা তাদের তিন ম্যাচে একাদশে বদল আনে ১৫টি। এরমধ্যে দলটির হয়ে খেলেছেন কয়েকজন বিদেশি। তাদের কেউই বিশ্বমানের তো দূরের কথা সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার মতন কিনা সেই প্রশ্ন উঠে। 

একমাত্র ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয় (দুই ম্যাচ খেলে ফিরে গেছেন) ছাড়া বাকিদের বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোর আগ্রহ থাকার কারণ নেই। শুভম রঞ্জনের কথাই ধরা যাক। ৩০ পেরুনো এই ক্রিকেটার একসময় ছিলেন ভারতের, মহারাষ্ট্রের হয়ে রঞ্জিতে কিছু ম্যাচ খেলছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে জায়গা না দেখে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার ক্রিকেটেই হয়েছেন থিতু। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে এসেছেন বিপিএলে। তবে মিডিয়াম পেস বোলিং জানান দেয় এরকম বোলার ঘরোয়া ক্রিকেটে অহরহই আছেন। শুক্রবার রাতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৭ রান দেন তিনি।

ঢাকা খেলিয়েছে ফারমানুল্লাহ নামের আরেক পেসারকে। যিনি আফগানিস্তানের বাইরে অন্য কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেননি। রিয়াজ হাসানও নামের ব্যাটারও আফগান ক্রিকেটেই বড় কোন নয়।

এবার বিপিএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম ছিলেন আলেক্স হেলস, রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলে তিনি ফিরে গেছেন আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে। ফরচুন বরিশালে খেলে ক্যারিবিয়ান কাইল মেয়ার্স চলে গেছেন এসএ টি-টোয়েন্টিতে। পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদিও মাতিয়েছেন প্রথম ছয় ম্যাচ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলছেন এক ঝাঁক আন্তর্জাতিক তারকা। ট্রেন্ট বোল্ট, রশিদ খান, জনি বেয়ারস্টোরা এসএ টি-টোয়েন্টিতে। নিকোলাস পুরান, সুনিল নারাইন, সিকান্দার রাজারা আইএল টি-টোয়েন্টি মাতাচ্ছেন। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে এই দুই আসরের দলগুলোর সম্পৃক্ততা থাকায় এতে পেশাদারিত্ব ও অর্থনৈতিক কাঠামো পোক্ত। ক্রিকেটাররাও তাই সেখানেই খেলতে বেশি আগ্রহী থাকবেন স্বাভাবিক।

বিপিএল সেদিক যেন বিবর্ণ, মলিন। যেখানে আমির হামজা হোটাক, শুভম রঞ্জনরা খেলছেন বিদেশি কোটায়। তাদের পারফরম্যান্স দর্শকদের মনে কোন দুত্যি তৈরি করে দূরে থাক যথেষ্ট বিরক্তির কারণ হচ্ছে। নিরপেক্ষ ক্রিকেট দর্শকদের কাছে বিকল্প থাকলে এসএ টি-টোয়েন্টি, আইএল টি-টোয়েন্টির এড়িয়ে বিপিএলে মনোযোগ রাখা শক্ত। 

Comments

The Daily Star  | English

Govt relieves Kuet VC, Pro-VC of duties to resolve crisis

A search committee will soon be formed to appoint new candidates to the two posts

50m ago