আজই ৫০% অর্থপ্রদানের প্রতিশ্রুতি দুর্বার রাজশাহীর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রায় মাঝপথে এসেও একটি টাকাও পাননি দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। যে কারণে আগের দিন অনুশীলন বয়কট করেন তারা। তবে ম্যানেজমেন্টের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রিকেটারদের বকেয়া অর্থের ৫০ শতাংশ আজকের মধ্যেই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

বুধবার এক ভিডিও বার্তায় রাজশাহীর অপারেশন্স ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেন, 'আমরা ১৬ জানুয়ারি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সত্যি বলতে, টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমরা দুঃখিত। এটি কখনোই হওয়া উচিত ছিল না। যেহেতু আজ বৃহস্পতিবার এবং সামনের দু'দিন ছুটি, ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২৫ শতাংশ নগদ অর্থ এবং আরও ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে আজকের মধ্যেই মোট ৫০ শতাংশ অর্থপ্রদান সম্পন্ন করা হবে।'

দলের মালিক বিদেশে থাকার কারণে চেকের মাধ্যমে অর্থপ্রদান সম্ভব হয়নি হয়নি বলে জানান জায়েদ। এবং এটাও অস্বীকার করেছেন যে শুধুমাত্র টাকা না পাওয়ার কারণে খেলোয়াড়রা অনুশীলন বর্জন করেছিলেন।

এর আগে, বুধবার টাকা না পাওয়ার কারণে নির্ধারিত অনুশীলন সেশন বর্জন করেছিলেন ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে তাদের দৈনিক ভাতার কিছু অংশ এখনও বকেয়া রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার, সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম পর্বের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ফিরে আসেন ক্রিকেটাররা। অনুশীলনের সময়, রাজশাহীর ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপিও একই কথা পুনরাবৃত্তি করেন।

'গতকাল বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের খুব সৌর্হাদ্যপূর্ণ একটা বৈঠক হয়েছে। তিনি আমাদের মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন আজকের মধ্যে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক নগদে হবে। আরও ২৫ শতাংশ অর্থ চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার আগেই দেবে বলেছেন,' বলেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার।

'আমাদের মালিক দেশে ছিলেন না। আমাদের ৩ তারিখে পারিশ্রমিক হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মালিকের স্ত্রী মাঠেই বলের আঘাত পান। যে কারণে পারিশ্রমিক বিলম্বিত হয়ে যায়। গতকাল পর্যন্ত আমাদের যে কথা হয়েছে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন আজকের মধ্যে ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।

'অনুশীলনের কোনো সমস্যা হয়নি। সিলেট থেকে চট্টগ্রামে আসার পর, কয়েকজন খেলোয়াড় ঢাকায় ছিলেন এবং তারা বিশ্রামের জন্য গিয়েছিলেন। অনেকেই দলীয় হোটেলে একসঙ্গে চেক-ইন করেননি। মোটের ওপর, খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নিয়েছিলেন এবং সে কারণেই ম্যানেজমেন্ট তাদের বিশ্রামের অনুমতি দিয়েছিল। অর্থপ্রদানের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ১৯ জানুয়ারির মধ্যেই সুনিশ্চিত করা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই,' যোগ করেন অপি।

এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন বলে জানান জায়েদ, 'আমাদের দলের মালিক সম্মানিত বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। আমি নিজেও তার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি পুরো পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলেন এবং আমরা তাকে সবকিছু ব্যাখ্যা করেছি। আমরা সময়মতো টাকা দিতে না পারার জন্য তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং আজকের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।'

'প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ার পর খেলোয়াড়দের জন্য বোনাস ঘোষণা করেছিলাম এবং সিলেট পর্বেই আমরা বোনাস দিয়েছি। বকেয়া অর্থপ্রদানের পাশাপাশি, আমরা ১৪ জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে মোটিভেট করার জন্য এক লাখ টাকা করে দিয়েছি। আমরা একটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিছু ভুল হচ্ছে এবং এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে আমাদের উদ্দেশ্য সৎ এবং আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Govt relieves Kuet VC, Pro-VC of duties to resolve crisis

A search committee will soon be formed to appoint new candidates to the two posts

4h ago