বিপিএল

বরিশালের জয়ে ফেরার ম্যাচে সাকিবকে ছাড়িয়ে গেলেন তামিম

ফরচুন বরিশালের হয়ে এতদিন যৌথ সর্বোচ্চ ছয়টি করে হাফসেঞ্চুরি ছিল সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের। সপ্তম ফিফটিতে সাকিবকে দুইয়ে ঠেলে সেই রেকর্ড নিজের একার করে নিয়ে চূড়ায় উঠলেন তামিম। তার অর্জনের দিনে তলানিতে থাকা ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে জয়ের পথে ফিরল বরিশাল।

বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের অনায়াস জয় পেয়েছে বরিশাল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকাকে ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্য স্পর্শ করে তারা।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা বরিশালের অধিনায়ক তামিম ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ৪৮ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। আবার ব্যর্থ হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ডাভিড মালানের সঙ্গে ৮০ বলে ১১৭ রান যোগ করেন তিনি। চলতি বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা ইংলিশ ব্যাটার মালান অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ রানে।

তামিমের সঙ্গে মালানের জুটি ভাঙে যখন, তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে বরিশাল। থিসারা পেরেরার ইয়র্কার লেংথ ডেলিভারি পায়ে লেগে বোল্ড হন তামিম। এরপর পাকিস্তানি জাহানদাদ খান দুটি ছক্কায় ৪ বলে অপরাজিত ১৩ রান করে দ্রুত খেলা শেষ করেন।

বরিশালের জার্সিতে সাকিব ২২ ইনিংসে করেছিলেন ছয়টি ফিফটি। তাকে টপকে যেতে তামিমের লেগেছে ৩০ ইনিংস। ৪৪ বলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। শুধু তাই নয়, বরিশালের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম। তিনি এই ম্যাচ খেলতে নামেন ৯৭৭ রান নিয়ে। এখন তার সংগ্রহ ৩৮.৪৪ গড় ও ১২৬.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১০৩৮ রান।

আগের ম্যাচে শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের কাছে হেরেছিল বরিশাল। জয়ে ফিরে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ছয় ম্যাচে চার জয়ে তাদের অর্জন ৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ধুঁকতে থাকা ঢাকা ফিরেছে পুরনো চেহারায়। আগের ম্যাচে চমক দেখিয়ে দুর্বার রাজশাহীকে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। তাদের পয়েন্ট আট ম্যাচে স্রেফ ২।

ঢাকা অল্পতে থামায় ম্যাচের ভাগ্য মাঝপথেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। তাদের পক্ষে একমাত্র লড়াই করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু বাকিদের কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। তাই গড়ে ওঠেনি কোনো ভালো জুটি। চলমান আসরে টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন তানজিদ। ৪৪ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬২ রান করেন তিনি।

সিলেট পর্বে সবশেষ দুই ম্যাচে ৭৩ ও ১২৫ রানের ইনিংস খেলা লিটন দাস ছিলেন খোলসবন্দি। ১৩ রান করতে তার লাগে ১৭ বল। সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১০ রান। ঢাকার অধিনায়ক থিসারা রানের খাতা খুলতে পারেননি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আফগানিস্তানি অলরাউন্ডার ফরমানউল্লাহ ১৬ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ২২ রানে আউট হন। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেলেও ৩ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ফেলেন স্পিনার তানভির ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English

Health Sector Reform Commission submits report to Yunus

Calls for constitutional obligation of primary healthcare

35m ago