বৃথা বিজয়ের সেঞ্চুরি, হাসানের তোপে জিতল খুলনা

স্কোরবোর্ডে ব্যাটাররা বড় পুঁজিই এনে দিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্সকে। কিন্তু এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল দুর্বার রাজশাহী। সেঞ্চুরিও তুলে নেন রাজশাহী অধিনায়ক। তবে তাদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান হাসান মাহমুদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে পার্থক্য গড়ে দেন এই পেসার। তাতে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স।

রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৭ রানে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৯ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০২ রানের বেশি করতে পারেনি রাজশাহী।

অবশ্য এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয়ের কাছাকাছিই রেখেছিলেন রাজশাহী অধিনায়ক বিজয়। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা রেখেছিলেন সচল। কিন্তু শেষ দিকে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে সে অর্থে আগ্রাসী হতে পারেননি। শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ১৭ রানের প্রয়োজন, সেখানে কেবল ৯ রান নিতে পেরেছেন বিজয়। তাতে তার সেঞ্চুরি পূরণ হলেও জয় মিলেনি।

শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করেন হাসান। মোহাম্মদ নাওয়াজ ক্যাচ মিস না করলে সেঞ্চুরির আগে বিদায় করতে পারতেন বিজয়কেও। শুরুতেও দারুণ বোলিং করেছেন। লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহীর তরুণ ওপেনার জিসান আলম যখন জ্বলে উঠেছিলেন। তাতে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন হাসান। ফেরান আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকেও। চার ওভার বল করে ২৫ খরচায় পান দুটি উইকেট।

এরপর ইয়াসির আলীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বিজয়। ৩৯ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তবে জয়ের স্বপ্নটা রায়ান বার্লের সঙ্গে করা জুটিতে দেখাতে শুরু করেন বিজয়। ৩৭ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯তম ওভারের শেষ বলে বার্লকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সালমান ইরশাদ। অবশ্য দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন হাসান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। যা টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। ৫৭ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ১৬ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ রান করেন বার্ল। ১৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ রান করেন জিসান আলম।

 এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মাদ নাঈমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ রানের ইনিংস খেলেন এই মেকশিফট ওপেনার। এর আগে অবশ্য ১৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৭ রানে করে আউট হন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

১৮ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার সহ আলেক্স রসকে বিদায় করে ম্যাচে ফেরে রাজশাহী। তবে আফিফ হোসেনের সঙ্গে উইলিয়াম বোসিস্টোর জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় খুলনা। ৭১ বলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। এরপর শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়।

দলের পক্ষে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। ৪২ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৩৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বোসিস্টো। ১২ বলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন অঙ্কন।

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

3h ago