বিপিএল

একাদশে ফিরেও কেন বল করেননি আল-আমিন?

তিন ম্যাচ পর সিলেট স্ট্রাইকার্সের একাদশে ফিরলেন আল-আমিন হোসেন। কিন্তু বল করেননি অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসার। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাকে ফিল্ডিংয়েও দেখা যায়নি। আর ব্যাটিংয়ে তার নামা হয়নি খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায়। কেন তাহলে আল-আমিনকে একাদশে রাখা হলো?

সোমবার চট্টগ্রামে বিপিএলের ম্যাচে আল-আমিন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিলেন অদৃশ্য। যদিও সিলেটের একাদশে তার নাম ছিল। ম্যাচের পর দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে আল-আমিন বলেছেন, শেষ মুহূর্তের অনুশীলনের সময় বাম হাতে চোট পান তিনি। তাই খেলতে পারেননি, 'ওয়ার্মআপের সময় মাংসপেশিতে টান লেগেছে। যে হাতে বল করি না, সেই হাতে লেগেছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করছি। এখন আগের তুলনায় ভালো আছি।'

টসের পর সিলেটের একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা অনুশীলন করছিলেন। তখনই ঘটে বিপত্তি। নিজেকে ঝালিয়ে নিতে গিয়ে চোট লাগে আল-আমিনের হাতে। বাম হাতে ব্যথা পেলেও বল করার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের কাছে গিয়ে একাদশে পরিবর্তন আনা যাবে কিনা তা জিজ্ঞেস করে সিলেটের টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা সম্মতি দেননি। এমন পরিস্থিতিতে অধিনায়কের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাই প্রকৃতপক্ষে ১০ জনের দল নিয়েই খেলতে হয় সিলেটকে।

সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘটনার বিস্তারিত, 'টসের পর একাদশের খেলোয়াড়দের যে ওয়ার্মআপ হয়, তখন আল-আমিন চোটে পড়েছেন। এরপর বিসিবির মেডিকেল বিভাগের চিকিৎসককে ডাকা হয়েছে। দেখা গেছে, তিনি যে হাতে বল করেন না, সেই হাত ফুলে গেছে। এরপর ওই চিকিৎসকসহ গিয়ে প্রতিপক্ষকে আমরা জিজ্ঞেস করেছি (একাদশে পরিবর্তন আনা যাবে কিনা)। (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ) সুজন ভাই বলছিলেন যে, তিনি দেখার চেষ্টা করছেন ব্যাপারটা। তবে থিসারা রাজী হননি। তিনি মানা করে দেন।'

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষমেশ ৬ রানে হেরেছে সিলেট। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে ঢাকা। জবাবে শেষদিকে আশা জাগালেও সিলেট পুরো ওভার খেলে পৌঁছাতে পারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান পর্যন্ত।

আল-আমিন মাঠে নামতে না পারায় বোলিং বিভাগের শক্তি অনুমিতভাবেই কমে যায় সিলেটের। তিন বিশেষজ্ঞ বোলার সুমন খান, রুয়েল মিয়া ও টিপু সুলতানের পাশাপাশি হাত ঘোরান অলরাউন্ডার সামিউল্লাহ শিনওয়ারি ও আরিফুল হক। অ্যারন জোন্সকেও দেখা যায় আক্রমণে। শেষ ৬ ওভারে বোলাররা ৯৫ রান হজম করায় এবং লক্ষ্য তাড়ায় অল্প ব্যবধানে হারায় আল-আমিনের অনুপস্থিতি ভালোভাবেই অনুভব করার কথা সিলেটের।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago