ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে তামিমের নেতৃত্বে যারা আছেন

ছবি: স্টার

নানা বিতর্ক ও সমালোচনার পাশাপাশি রোমাঞ্চ ও রেকর্ডের সমারোহ নিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএলের একাদশ আসর। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় এটি তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা।

সদ্যসমাপ্ত আসরে ব্যাটে-বলে নজর কেড়েছেন দেশি-বিদেশি অনেক ক্রিকেটার। তাদের মধ্য থেকে সেরা ১১ জনকে বেছে নিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো। পাঁচ ব্যাটার, দুই অলরাউন্ডার, তিন পেসার ও এক স্পিনার সাজানো হয়েছে একাদশ।

ওপেনিংয়ে আছেন খুলনা টাইগার্সের বাঁহাতি ব্যাটার নাঈম শেখ। তিনি ছিলেন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৪৩.৯৪ স্ট্রাইক রেটে তিনটি ফিফটিসহ তার ব্যাট থেকে আসে ৫১১ রান। বিপিএলের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

উদ্বোধনী জুটিতে নাঈমের সঙ্গী বরিশালের অভিজ্ঞ তারকা তামিম ইকবাল। চারটি হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ১২৯.০৬ স্ট্রাইক রেটে ৪১৩ রান করেন তিনি। তাকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্রিকইনফোর বিপিএলের সেরা একাদশে জায়গা পেলেন তিনি।

তিনে রয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বাঁহাতি ব্যাটার জাকির হাসান। ১৪০.৪৩ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ছিল ৩৮৯ রান। তিনি করেন তিনটি ফিফটি। একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ৪৩১ রান করা গ্রাহাম ক্লার্ককে রাখা হয়েছে চার নম্বরে। চিটাগংয়ের ইংলিশ ক্রিকেটারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩.৩৮।

রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি বাঁহাতি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ আছেন পাঁচে। তিনি ১৭৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ২৯৮ রান করার পাশাপাশি স্রেফ ৯.৯৪ গড়ে তিনি নেন ১৭ উইকেট। সদ্যসমাপ্ত আসরে স্পিনারের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

উইকেটরক্ষক হিসেবে সাতে রয়েছেন খুলনার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১৭৪.৫৮ স্ট্রাইক রেটে একটি ফিফটিসহ তার ব্যাট থেকে আসে ৩১৬ রান। এবারের বিপিএল ন্যূনতম ৩০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে সাতটি ডিসমিসাল ছিল তার নামের পাশে।

সাতে থাকা বরিশালের পাকিস্তানি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ শিকার করেন ২০ উইকেট। সদ্যসমাপ্ত আসরে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। তার বোলিং গড় ১৩.৯০ ও ইকোনমি ৭.১২ ছিল দুর্দান্ত। ব্যাটিংয়ে খুব বেশি সুযোগ না পেলেও ২৩১.৮১ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ১০২ রান।

চিটাগংয়ের রহস্য স্পিনার আলিস আল ইসলাম রয়েছেন আট নম্বরে। মাত্র ৬.৩২ ইকোনমিতে তিনি দখল করেন ১৫ উইকেট। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাইনালে খেলা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে, এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চোটের কারণে।

নয়ে রাখা হয়েছে দুর্বার রাজশাহীর তারকা পেসার তাসকিন আহমেদকে। তিনি ছিলেন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মাত্র ১২.০৪ গড় ও ৬.৪৯ ইকোনমিতে ২৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তিও এখন তার দখলে।

চিটাগংয়ের ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ আছেন দশে। ২০.১০ গড়ে তিনি পান ২০ উইকেট। ১১ নম্বরে থাকা রংপুরের বাঁহাতি পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদও সমান সংখ্যক উইকেট নেন ১৪.৩০ গড়ে। সদ্যসমাপ্ত আসরে ফাহিমের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank governor Ahsan H Mansur's remarks

Bangladesh in ‘intensive discussion’ with UK to recover laundered money: BB governor

Mansur said Bangladesh had requested mutual legal assistance from several countries, including the UK

1h ago