আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শান্ত মেসি

এইতো বছর তিনেক আগেও লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ট্রফি ভাণ্ডার ছিল শূন্য। প্রতিটি ম্যাচেই তখন প্রত্যাশার প্রচণ্ড চাপ নিয়ে খেলতে নামতেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সব কিছুই পাল্টে গেছে। এমনকি কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও চাপ অনুভব করছেন না তিনি। আগের চেয়ে অনেক বেশি শান্ত থাকতে পারছেন বলেই জানান রেকর্ড আটবারের ব্যলন ডি'অর জয়ী এই তারকা।

মূলত কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য এক চক্র পূরণ করেন মেসি। ফুটবলের সম্ভাব্য সব ধরণের শিরোপার মালিক এখন এই আর্জেন্টাইন। কোপার ফাইনালে ওঠার পর ফক্সস্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি শান্ত আছি, সবসময়ের মত দিন আসার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা যেসব কিছুর মধ্যে ছিলাম এবং যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি তার পর আমি আগের চেয়ে এখন অনেক শান্ত।'

এখন মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে খেলাটা উপভোগই মূলমন্ত্র আর্জেন্টাইন অধিনায়কের, 'আমি আরও অনেক বেশি উপভোগ করতে চাই, প্রতিটি মুহূর্ত পূর্ণভাবে বাঁচতে চাই, কেবল সময়ের গতি বাড়ানোর জন্য নয়। শুধু মুহূর্তটি বেঁচে থাকুন এবং যখন এটা (ফাইনাল ম্যাচ) আসে, ম্যাচটি কেমন হতে চলেছে তার উপর ফোকাস করুন।'

কোপা আমেরিকায় এবার গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচ খেলে একটি অ্যাসিস্ট করলেও কোনো গোলের দেখা পাননি। চোটের কারণে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরে সেই ম্যাচে ছিলেন খোলসবন্দী। তবে সেমি-ফাইনালে কানাডার বিপক্ষে জ্বলে ওঠেন স্বমহিমায়। গোল পেয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। এখন লক্ষ্য ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ২৩ বছর পর ফাইনালে ওঠা কলম্বিয়া।

তবে ফাইনাল ম্যাচটি সহজ হবে না বলে মনে করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, 'আমরা উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার ম্যাচ দেখেছি। আমরা জানতাম (প্রতিপক্ষ) যেই হোক না কেন, এটি কঠিন হবে। কলম্বিয়া অনেক দিন হারেনি। এটি এমন একটি দল যেখানে খুব ভাল খেলোয়াড় রয়েছে, পাশাপাশি তীব্রতাও প্রচণ্ড। সামনে, তাদের দ্রুত এবং গতিশীল খেলোয়াড় রয়েছে। ভালো একটি ফাইনাল হতে যাচ্ছে।'

সব ছাপিয়ে এখন ফাইনালেই মনোযোগ দিতে চান মেসি, 'ফাইনাল সবসময়ই ভিন্ন ম্যাচ। কিন্তু আমরা ভালো করছি, আমরা শান্ত আছি যেমন আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ছিলাম, আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা উপভোগ করছি। এবং ঠিক আছে, আমরা সেই ফাইনাল কী হতে চলেছে তার দিকে মনোনিবেশ করছি।'

ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন মেসির দীর্ঘদিনের সতীর্থ আনহেল দি মারিয়া। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেছেন, 'সে এটা আগেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন সবকিছুই উপভোগের চেষ্টা করি, আগে যেসব মুহূর্তকে পাত্তা দিইনি সেগুলোও। সে আগের চেয়ে এখন বেশি আবেগপ্রবণ। জাতীয় দলের হয়ে তার শেষ মুহূর্তে আমরা পাশেই আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Tk 707cr spent in 9yrs, dengue still ravages Dhaka

This year, DNCC proposed Tk 135 crore budget and DSCC Tk 46.50 crore for mosquito-control activities.

8h ago