লিটন-শান্তর গোল্ডেন ডাকের পর ব্যর্থ মুশফিকও

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সামনে রেকর্ড রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জ। অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হলো সম্ভাব্য সবচেয়ে বাজে উপায়ে। ইংল্যান্ডের একাদশে ফেরা স্যাম কারানের পেস ও সুইংয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে ব্যাটারদের। একে একে ঘায়েল হলেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান করেছে সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারে ৯ রানে ৩ উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

লিটন ও শান্ত রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। দুজনই গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ নেন। বিপর্যয়ের মাঝে ত্রাতা হতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ধাক্কা সামলে দলকে কক্ষপথে ফেরাতে এই দুই অভিজ্ঞ তারকার দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তাদের সংগ্রহ ৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬ রান।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। বাঁহাতি কারানের ডেলিভারিটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ইনসুইং আশা করে পা না নাড়িয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন লিটন। সেই অবস্থান থেকেই খেলতে গিয়ে কুপোকাত হন তিনি। পয়েন্টে দাঁড়ানো জেসন রয় নেন সহজ ক্যাচ।

তিনে নামা শান্তও লিটনের মতো এক বলের বেশি টিকতে পারেননি। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে আউটসুইংয়ে পরাস্ত হন তিনি। বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের গ্লাভসে।

প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন কারান। মুশফিক সেটা হতে দেননি। তবে আক্রমণে ফিরেই তাকে বিদায়ের পথ দেখান কারান। তার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি একটু লাফিয়েও উঠেছিল। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে মুশফিক দেন খোঁচা। বাটলার ক্যাচ লুফে নিতেই উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরুতে আউটের সিদ্ধান্ত আসেনি। আত্মবিশ্বাসী বাটলার সফল হন রিভিউ নিয়ে।

সাম্প্রতিক সময়ে রানখরায় থাকা মুশফিক ৫ বলে ৪ রান করেন। এরপর জুটি বেঁধেছেন তামিম ও সাকিব। তামিম ২১ বলে ১২ ও সাকিব ১৪ বলে ৯ রানে খেলছেন।

তিন ম্যাচের সিরিজ বাঁচাতে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে হবে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রান তাড়া করে জেতাই তাদের বর্তমান সর্বোচ্চ।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

4h ago