শান্ত-মুশফিকের ফিফটির পর সাকিবের ব্যাটে মিলল লড়াইয়ের পুঁজি

Shakib Al Hasan
৭৫ রানের ইনিংসের পথে সাকিব আল হাসানের শট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম মিলে সামাল দেন সেই প্রাথমিক বিপর্যয়। তাদের ব্যাটে এক পর্যায়ে পাওয়া যায় ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত।  পরে দুজনে অসময়ে আউট হলে ফের লেগেছিল ধাক্কা। তবে দলের ভীষণ প্রয়োজনে জ্বলে উঠে সাকিব আল হাসানের ব্যাট। মন্থর উইকেটে তাতে মিলেছে লড়াই করার পুঁজি। 

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে  ২৪৬  রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরু করা বাংলাদেশকে জুতসই পুঁজিতে নিতে বড় অবদান সাকিবেরই। ৭১ বলে ৭ চারে তিনি করেন ৭৫ রান।  ৯৩ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। ৭৩ বলে ৫৩ আসে শান্তর ব্যাটে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কিছু বুঝে উঠার আগেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পুরো সিরিজে নিষ্প্রভ লিটন দাসই হন প্রথম কাবু। আগের ম্যাচে পেয়েছিলেন গোল্ডেন ডাক। ডাক মেরেছেন এবারও। তিন বল খেলে স্যাম কারানের বল ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল এক চারে শুরু পেয়েও আগাতে পারেননি। কারানের হালকা বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারির গতি না বুঝে ফ্লিক করতে গিয়ে টপ এজে উঠান সহজ ক্যাচ।

Mushfiqur Rahim & Najmul Hossain Shanto

তিনে নামা  শান্ত থিতু হতে অনেক সময়। চাপে থাকা মুশফিকও তাল পেতে লাগান বাড়তি সময়। তবে থিতু হয়ে বেশ দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন তারা। তৃতীয় উইকেটে জমে উঠে জুটি। প্রথম ম্যাচে ফিফটি পাওয়া শান্ত এবারও পান পঞ্চাশের দেখা। ৬০ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া শান্তকে বেশ সাবলীল মনে হচ্ছিল। তবে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে অসময়ে বিদায় নিতে হয় তাজকে। ৭১ বলে ৫ চারে ৫৩ রানে থামেন তিনি। ভেঙে যায় দুজনের ৯৮ রানের জুটি।

Mushfiqur Rahim
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুশফিক সাত ইনিংস পর ফিফটি পেয়ে ছুটছিলেন আরও বড় কিছুর দিকে। ইনিংস গড়ে নেওয়া, দলের রান বাড়িয়ে নেওয়ার আদর্শ পরিস্থিতিতে তার সামনে সেই সময় ও সুযোগ ছিল বিস্তর। কিন্তু আদিল রশিদের গুগলি পড়তে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৯৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান।

ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ এদিনও ব্যর্থ। আগের ম্যাচে পরিস্থিতির বিপরীতে খেলেছিলেন বিস্ময়কর মন্থর ইনিংস। এবার থিতু হওয়ার আগেই বিদায়। ৯ বলে ৮ রান করে রশিদের বলে বোল্ড তিনিও।

তবে এই বিপদে কুঁকড়ে না থেকে পাল্টা আক্রমণ চালান সাকিব। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন সাকিব। ৫৪ বলের জুটিতে ২ রানই আনেন সাকিব। ধুঁকতে থাকা আফিফ ২৪ বল খুইয়ে করতে পারেন স্রেফ ১৫ রান। ক্রিস ওকসের স্লোয়ার উঠিয়ে মারতে গিয়ে মঈনের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন তিনি।

খানিক পর অভিষিক্ত লেগ স্পিনার রেহান আহমেদকে তার স্পেলের শেষ বলে প্রথম উইকেট উপহার দিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুল ইসলামও সাকিবকে সঙ্গে দিতে পারেননি। শেষ দিকে ইবাদত হোসেনকে এক পাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। ওই ফেইজে ১৩ বলে আনেন ১৯ রান। ৬৬ রানে সহজ ক্যাচ ছেড়ে তাকে জীবন দিয়েছিলেন জেমস ভিন্স। তাতে আরও ৯ রান বাড়িয়েছেন। ৪০ ওভারে আর্চারের বল উড়াতে গিয়ে জেসন রয়ের হাতে ধরা দেন সাকিব। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়া আর্চার ইনিংস মুড়ে দিতে আর সময় নেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Seven killed in Mymensingh road crash

At least seven people were killed and several others injured in a head-on collision between a bus and a human haulier in Mymensingh’s Phulpur upazila last night

1d ago