ইউরোতে অধরাই রইল এমবাপের গোল

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ফ্রান্সকে

দুটি বিশ্বকাপে গোল সংখ্যা ১২টি। কিন্তু এখনও কোনো গোল নেই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। সেই পরিসংখ্যান বদলে দেওয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে গোল অধরাই রইল বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার। তার শট থেকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে দিক বদলে দল গোল পেলেও হয়নি নিজের নামে। তবে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে ফ্রান্স।

জার্মানির ডাসেলডার্ফ অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে আত্মঘাতীর সুবাদে।

তবে গোল না পাওয়ার জন্য কেবল নিজেকেই দায় দিতে পারেন এমবাপে। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষ শিবিরে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন তিনি। সময়ও পান বেশ খানিকটা। বল নিয়ন্ত্রণ করে দেখে শুনে বাইরে মারেন সদ্যই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই তারকা।

এমবাপে সহজ সুযোগ মিস করলেও তার খেসারৎ দিতে হয়নি ফ্রান্সকে। তারজন্য কৃতিত্ব দিতে হয় গোলরক্ষক মাইক মাইগনানকে। দারুণ কিছু সেভ করেছেন তিনি। এছাড়া দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরে দুর্দান্ত খেলে একাধিকবার দলকে রক্ষা করেছেন এনগোলো কান্তে।

এছাড়াও এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন এমবাপে। আদ্রিয়ান রাবিওর বাড়ানো বল ধরে বাঁ প্রান্তে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে যে কোণাকোণি শট নেন এই তারকা তা দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক পেট্রিক প্যান্টজ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও গ্রিজমানের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে তালগোল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে।

অবশ্য দলের জয়সূচক গোলটির মূল কৃতিত্বই এমবাপের। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে ডান প্রান্তে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একেবারে লাইন থেকে কাটব্যাক করেন তিনি। তার শট অস্ট্রিয়ার ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবারের মাথায় লেগে চলে যায় জালে। এগিয়ে যায় ফ্রান্স। যা শেষ পর্যন্ত দলের জয়সূচক গোলে পরিণত হয়।

১৩তম মিনিটে থিও হার্নান্দেজের গোললাইন ঘেঁষা ক্রসে কেউ পা ছোঁয়াতে পারলে গোল পেতে পারতো ফ্রান্স। ৩২তম মিনিটে গোল পেতে পারতো আস্ট্রিয়াও। কনরেড লাইমারের শট রুখে দেন মাইগনান। চার মিনিট পর তো অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন এই গোলরক্ষক। মাইকেল গ্রেগোরিটশের ক্রসে দারুণ এক ভলিতে ক্রিস্টোফার বামগার্টনারকে দিয়েছিলেন মার্সেল সাবিতজার। তবে লাইপজিগ ফরোয়ার্ডের শট আগুয়ান গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।

৬৫তম মিনিটে থিও হার্নান্দেজের ক্রস গ্রিজমান পা ছোঁয়াতে পারলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ফরাসিরা। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল জুলস কুন্ডের। তার শট ব্লক করেন এক ডিফেন্ডার। দুই মিনিট পর মার্কাস থুরামের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক।

 ৭৮তম মিনিটে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা গোলরক্ষক মাইগনান। বামগার্টনার বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে শট নেওয়ার আগেই লুফে নেন এই গোলরক্ষক। শেষ দিকে তো প্রবল চাপ সৃষ্টি করে অস্ট্রিয়া। প্রতিবারই ঢাল হয়ে দাঁড়ান এই গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণে সুযোগ ছিল ফ্রান্সেরও। তবে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা।

Comments

The Daily Star  | English

12,000 bhori gold missing from Samabaya Bank: LGRD adviser

Adviser to the Ministry of Local Government and Rural Development (LGRD) AF Hassan Ariff has said that a significant portion of the assets belonging to the Samabaya Bank have been illegally captured. Those who were once associated with the bank have now taken possession of its properties

10m ago