রোনালদোর তারকা খ্যাতির 'বিড়ম্বনাও' দেখছেন পর্তুগাল কোচ

তুরস্কের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের একাধিকবার রোনালদোর ভক্তরা মাঠে ঢোকায় খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ

গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুই পায়ের জাদুতে পুরো বিশ্বকে বুঁদ করে রেখেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পুরো পৃথিবী জুড়েই অসংখ্য ভক্ত এই তারকা ফুটবলারের। প্রিয় তারকার কাছে যেতে, তারসঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। প্রয়োজনে আইন ভাঙতেও পিছ পা হন না। তবে রোনালদোর এই তারকাখ্যাতির বিড়ম্বনাও দেখছেন পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ।

সিগন্যাল ইদুনা পার্কে শনিবার রাতে তুরস্কের বিপক্ষে পর্তুগালের ৩-০ গোলের জয়ে ম্যাচেও ঘটেছে এমন কাণ্ডই। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে মাঠে ঢুকে পরেন রোনালদোর এক ক্ষুদে ভক্ত। তাতে খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। পর্তুগাল তখন তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে। এরপর ঢুকে পড়েন আরও এক যুবক। ফের বন্ধ থাকে খেলা। কড়া নিরাপত্তায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন আরও তিনজন।

ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্তুগালের জন্য এই ঘটনা তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন থাকলে পড়তেও পারতো। দল পিছিয়ে থাকলে কিংবা সমতায় থাকে। এমনকি নূন্যতম ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণের সময় কোনো ভক্ত মাঠে ঢুকে গেলে ভোগান্তিতে পড়তেই পারে পর্তুগাল। মার্তিনেজের ভাবনা সেই বিষয় নিয়েই।

নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গেও সমর্থকদের মাঠে ঢুকে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এই কোচ বলেন, 'এটা একটা উদ্বেগের বিষয়। আজ ভক্তদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল। আমরা সবাই এমন ভক্তকে ভালোবাসি যে বড় তারকা এবং আইকনদের চিনতে পারে। কিন্তু আপনাকে (অবশ্যই) বুঝতে এমন কিছু মুহূর্ত আছে যেখানে তাদের উদ্দেশ্য ভুল হতে পারে।'

সমর্থকদের মাঠে না ঢোকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, 'আমাদের সাবধান হওয়া দরকার। এটা হওয়া উচিত নয় - অনেক নিরাপত্তা আছে। আমাদের ভক্তদেরও একটি বার্তা দেওয়া উচিত কারণ এটি সঠিক উপায় নয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য আরও খারাপ হতে পারে। পিচে খেলোয়াড়দের এত উন্মুক্ত করে ফেলা ভালো নয়।'

মাঠে সমর্থকরা ঢুকে অনেক সময় অ্যাথলেটদের ক্ষতিও করে থাকেন। ভাবনায় থাকে এই বিষয়টিও। তবে এমন কিছু ভাবেন না ম্যান সিটি তারকা বের্নার্দো সিলভা, 'আমি সত্যি উদ্বিগ্ন নই। ভক্তদের মাঠে প্রবেশ করার কারণে সবসময় খেলা বন্ধ করার বিষয়টি কিছুটা বিরক্তিকর। তা ছাড়া, আমি মনে করি ফুটবল বিশ্বে এত স্বীকৃত হওয়ার জন্য আপনি যে মূল্য দিতে পারেন। তবে বিপদের অনুভূতির ক্ষেত্রে, আমি তা মনে করি না, অন্তত আমি ব্যক্তিগতভাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi expatriates in Lebanon urged to stay safe amid escalating conflict

Bangladesh Embassy in Lebanon has requested Bangladeshi expatriates living in that country to stay safe amid an ongoing war situation there

3h ago