ইউরো থেকে বাদ সেই আর্জেন্টাইন রেফারি

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান আসর থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন রেফারি ফাকুন্দো তেল্লোকে। একই সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়েছে স্কটল্যান্ড-হাঙ্গেরি ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্বে থাকা আলেহান্দ্রো হার্নান্দেজ এবং দুই সহকারী গ্যাব্রিয়েল চাদে এবং ইজেকুয়েল ব্রেইলভস্কিকেও।

মূলত স্কটল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মধ্যকার ম্যাচের ৭৯তম মিনিটের ঘটনায় কপাল পোড়ে এই রেফারিদের। গোলশূন্য সমতায় এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচটি। এ সময় ডি-বক্সের মধ্যে স্টুয়ার্ট আর্মস্ট্রংকে ফেলে দিয়েছিলেন হাঙ্গেরির উইলি অরবান। স্কটিশদের পেনাল্টির আবেদন আমলে নেননি রেফারি ফাকুন্দো। এমনকি ভিএআরেও যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি।

তখন পেনাল্টি পেলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো। সেই ম্যাচে একেবারে অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নেয় স্কটল্যান্ড। ম্যাচ শেষে তখন স্কটল্যান্ডের বস স্টিভ ক্লার্ক বেজায় খেপেছিলেন রেফারিদের বিরুদ্ধে।

পরে সেই বিষয় নিয়ে যাচাই বাছাই করে উয়েফা। সেই ঘটনাকে একটি 'বড় ত্রুটি' হিসেবে দেখছে ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যে কারণে এই চার অফিশিয়ালকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের দাবি অনুযায়ী, সেই রাতে দায়িত্বে থাকা পুরো রেফারি দলের সঙ্গে আরও পাঁচজন ক্রুকে বাদ দিয়েছে উয়েফা।

সেদিন ম্যাচ শেষে স্কটল্যান্ডের ম্যানেজার ক্লার্ক ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, 'তিনি আর্জেন্টিনা থেকে এসেছেন - কেন আমি তাকে (পেনাল্টি সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করব? তিনি সম্ভবত (ইংরেজি) ভাষা বলতে পারেন না। আমি জানি না। সে এখানে কেন? কেন একজন ইউরোপীয় রেফারি নেই? ভিএআরে কী লাভ যদি তারা এরকম কিছুতে কাজে না আসে?'

হাঙ্গেরির কাছে স্কটল্যান্ডের ১-০ গোলে ম্যাচে দুইবার ভিএআর সহকারী হার্নান্দেজ প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর্মস্ট্রংয়ের ঘটনার পাশাপাশি, প্রথমার্ধে হাঙ্গেরি গ্রান্ট হ্যানলির কনুই দিয়ে এন্ড্রে বোটকাকে আঘাত করাও পেনাল্টি পেতে পারত বলে মনে করে তারা।

২০২২ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার জায়ান্ট বোকা জুনিয়র্স এবং রেসিং ক্লাবের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ১০টি লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন ফাকুন্দো। রেসিং ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সেই ঘটনার পর বোকা জুনিয়র্সের মাঠে মাত্র ছয়জন খেলোয়াড় বাকি ছিল। ন্যূনতম সাতজন না থাকায় ম্যাচটি তখন বন্ধ করতে বাধ্য হন ৪২ বছর বয়সী এই রেফারি।

উল্লেখ্য, উয়েফা ও কনমেবলের একটি চুক্তির কারণে ফাকুন্দো জার্মানিতে গিয়েছিলেন। বিপরীতে কোপা আমেরিকায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছেন ইতালীয় রেফারি মাউরিজিও মারিয়ানি।

Comments

The Daily Star  | English

Tk 707cr spent in 9yrs, dengue still ravages Dhaka

This year, DNCC proposed Tk 135 crore budget and DSCC Tk 46.50 crore for mosquito-control activities.

8h ago