ফ্রান্স বিশ্বকাপ বয়কট করবে না: কাতারে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত
চার বছরে একবারই আসে বিশ্বকাপ। ফলে প্রতিবারই আলোচনার শীর্ষে থাকে ফুটবলের এই মহাযুদ্ধ। তবে এবার ইউরোপের দেশ ও তাদের ফুটবলারদের পেয়ে বসেছিল প্রতিবাদের নেশা। কাতারের কঠোর ইসলামিক আইন, প্রবাসী শ্রমিক, নারী ও সমকামীদের প্রতি তাদের নীতির সমালোচনায় মেতেছিল অংশ নিতে যাওয়া ইউরোপীয় দেশগুলো। এদের মধ্যে ফ্রান্স ছিল অন্যতম, তাদের কিংবদন্তি ফুটবলার এরিক ক্যান্টোনা দিয়েছিলেন এই বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক। তবে কাতারে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সাফ জানিয়ে দিলেন, ফ্রান্স এই আসর বয়কট করবে না।
প্রতিবার জনবহুল জায়গাগুলোতে বড় পর্দায় বিশ্বকাপের খেলাগুলো সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে ফ্রান্স। তবে এবার এমন আয়োজন করা হবে না সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দেশটির কয়েকটি শহর। কাতারের প্রতি প্রতিবাদ জানাতেই এমনটা করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছিল তখন। তবে কাতারি গণমাধ্যম আলকাস স্পোর্টস চ্যানেলকে রাষ্ট্রদূত জন বাতিস্ত ফ্যাভ বলেছেন এসব প্রতিবাদ সরকারের অবস্থানের প্রতিফলন ঘটায় না। মূলত ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও ব্যয়ের কথা চিন্তা করেই এবার ফ্রান্স ফ্যান জোন স্থাপন করবে না বলে জানান তিনি।
ফ্যাভ বলেন, 'ফ্রান্স বিশ্বকাপ বয়কট করবে না। অবশ্যই কাতার আর্থিক সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও এটা সত্য বিনিয়োগ ও চুক্তিগুলোর কারণে ফ্রান্সে চাকরি ও উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক এসবের ঊর্ধ্বে।'
কাতারে প্রবেশের জন্য দশ হাজার ফরাসি ভক্ত ইতোমধ্যে ফ্যান পাসের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করে ফেলেছে। ফিফা জানাচ্ছে বিশ্বকাপের জন্য ছাড়া মোট ৩.১ মিলিয়ন টিকিটের সিংহভাগ ক্রয় করা ভক্তদের মধ্যে অন্যতম ফরাসিরা। এবার এক মিলিয়নের বেশি মানুষ কাতারে পাড়ি জমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে এবারের বিশ্বকাপের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়নি আয়োজক রাষ্ট্র কাতার। প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন দেশের বাছাইকৃত পুলিশ সদস্যদের মরুর দেশে পাঠানো হবে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য। কাতারি নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন তারা। যার মধ্যে থাকবেন ৩০০ ফরাসি পুলিশ ও প্যারামিলিটারি সদস্য।
Comments