বাছাইয়ে মেসিকে সর্বোচ্চ পাস দেওয়া লো সেলসোর বিশ্বকাপ শেষ

কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অনবদ্য ছিলেন জিওভানি লো সেলসো।
ছবি: রয়টার্স

কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অনবদ্য ছিলেন জিওভানি লো সেলসো। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে সবচেয়ে বেশি পাসও দিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। কিন্তু চোটের কারণে ফুটবলের মহাযজ্ঞ থেকে ছিটকে গেলেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দিয়েছে লো সেলসোর বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার খবর। শুরুতে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে তার খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট তাকে কাতারগামী বিমানেই চাপতে দিল না। ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ধারে ভিয়ারিয়ালে খেলা ২৬ বছর বয়সী এই তারকাকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। ফলে সেরে উঠতে লাগবে লম্বা সময়।

স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে গত রোববার অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ভিয়ারিয়াল। ওই ম্যাচের ৩০তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লো সেলসো। তখন থেকেই তার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কাতারের মাটিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই চালিয়েছেন তিনি। কিন্তু অস্ত্রোপচার করানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

সবশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা স্কোয়াডেও ছিলেন লো সেলসো। কিন্তু সেবার কোনো ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এবার তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাকে বিশ্বকাপে না পাওয়াটা নিঃসন্দেহে লিওনেল স্কালোনির জন্য বিশাল ধাক্কা। আলবিসেলেস্তে কোচ কয়েক দিন আগেই রয়টার্সের কাছে বলেছিলেন যে এবারের দলে লো সেলোসের শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়।

গত বছর কোপা আমেরিকা ও চলতি বছর লা ফিনালিসিমার শিরোপা জেতা আর্জেন্টিনাকে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। তবে চোট সংক্রান্ত কারণে তারা বেশ বিপাকে আছে। পাওলো দিবালা আর আনহেল দি মারিয়ার মতো তারকারা আছেন সেরে ওঠার লড়াইয়ে।

আসন্ন বিশ্বকাপে 'সি' গ্রুপে খেলবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। স্কালোনি-মেসিদের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ নভেম্বর, সৌদি আরবের বিপক্ষে। তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড ও মেক্সিকো।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago