৭ গোলের সেই ম্যাচ সুযোগ পেলে আগের কৌশলেই খেলত ব্রাজিল

ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের ব্যবধানে হার, যা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অপমানজনক ঘটনা হিসেবেই স্বীকৃত। কোচ লুইস ফিলিপ স্কলারির জন্যও ছিল বড় অপমানজনক। সেই ম্যাচ নিয়ে এখনও আক্ষেপে পুড়ে থাকেন ব্রাজিলিয়ানরা। তবে যদি ম্যাচটা আবার খেলার কোনো সুযোগ পেত তারা, তারপরও কৌশলে কোনো পরিবর্তন করতেন না স্কলারি।

আর দুই দিন পরই মরুর বুকে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। কাতারে এ আসরের পর্দার ওঠার আগে চলছে নানা আলোচনা। উঠে আসছে আগের বিশ্বকাপগুলোর বিষয়ও। সম্প্রতি বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে এমনই এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্কলারি। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে ২০১৪ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ। উঠে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের বিধ্বস্ত হওয়ার ম্যাচটিও। মূলত আলোচনা ছিল সেই ম্যাচে স্কলারির কৌশল নিয়েই।

তবে নিজের কৌশলে কোনো ভুল ছিল না বলেই দাবি করেন স্কলারি। নিজেদের বাস্তবায়নে ভুলের সঙ্গে জার্মানদের নিখুঁত ফুটবলেই বিধ্বস্ত হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি, 'ব্রাজিল যদি আবার জার্মানির সাথে খেলতে পারে, আমি কিছু পরিবর্তন করব না। জার্মানি নিখুঁত একটি ম্যাচ খেলেছে এবং আমরা এমন ভুল করেছি যা সেমিফাইনালে ওঠা কোনো দল করতে পারে না। যদি আমার আবার সেই ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়, আমরা যে কৌশলে খেলেছি এবং পড়াশুনা করেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কিছুই পরিবর্তন করব না।'

'আমরা সবাই জানি যে ম্যাচটি একশর মধ্যে একটি ছিল, এমনকি হাজারের মধ্যে একটি হতে পারে - কিছু অযৌক্তিক ঘটনা ঘটেছে। তাই আমি যদি সে সময়ে ফিরে যেতে পারি এবং জার্মানি থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে দল পরিবর্তন করতে পারি, কিন্তু আমরা আবার একই কাজ করব,' যোগ করেন স্কলারি।

ব্রাজিলের কোচ হিসেবে অন্যতম সফল এখন স্কলারি। ২০০২ বিশ্বকাপ জিতেছিল তার হাত ধরেই। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে স্বয়ং ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্টের অনুরোধ ছিল ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিওকে দলে নেওয়ার। কিন্তু তার অনুরোধ উপেক্ষা করে দল গঠন করেন। এমনকি জিতে নেন বিশ্বকাপও। অথচ সেবার ফুটবল বোদ্ধাদের দৃষ্টিতে ফেভারিট তালিকাতে ছিল না ব্রাজিল। ছিল না প্রত্যাশার চাপও।

কিন্তু ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে তাদের উপর প্রত্যাশা ছিল অনেক। তার প্রভাবও ম্যাচে পড়েছে বলে মনে করেন স্কলারি, 'ব্রাজিলে (২০১৪ সালে) বিশ্বকাপ জেতার চাহিদা ও চাপ ছিল তীব্র। ২০০২ সালের তুলনায় একেবারেই আলাদা। ২০০২ সালে আমরা এমন একটি দল ছিলাম যাদের সুযোগ ছিল, কিন্তু ২০১৪ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিততেই হতো। তাই ম্যানেজার এবং খেলোয়াড়দের উপর থাকা চাপে (আমাদের পারফরম্যান্সের) গুণমানে হস্তক্ষেপ হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

External balance swings to surplus after 3yrs

The country’s balance of payments returned to a surplus in the fiscal year (FY) 2024-25, ending a three-year spell of deficits.

11h ago