ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

দল ঘোষণার আগেই ছিটকে যান পল পগবা ও এনগোলো কান্তে। এরপর ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কু ও এবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী করিম বেনজেমাও যান ছিটকে। তার উপর নেশন্স লিগের বিবর্ণ পারফরম্যান্সই উপহার দিয়েছে দলটি। কিন্তু এতো কিছুর পরও দলটির সামর্থ্য রয়েছে ভালো কিছু করার। অস্ট্রেলিয়া চাইবে চমকে দিতে ফরাসিদের। তাই কাজটা সহজ হবে না বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা
কোথায়?
আল জানোব স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরাহ
নজরে থাকবেন যারা
করিম বেনজেমার অনুপস্থিতিতে কিলিয়ান এমবাপেরই সামলাতে হবে আক্রমণের গুরুদায়িত্ব। তবে তারকাবহুল ফরাসি দলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন আরও অনেকেই। মিডফিল্ডে তরুণ সম্ভাবনাময় অরেলিয়ান চুয়ামেনি-এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা জুটির দিকে থাকবে বাড়তি নজর। উসমানে দেম্বেলে-কিংসলে কোমানরা গতির ঝড়ে তছনছ করতে পটু প্রতিপক্ষকে।
অস্ট্রেলিয়ার দলে তেমন বড় কোনো তারকা না থাকলেও আছেন ইংলিশ লিগের দ্বিতীয় স্তরের কয়েকজন ফুটবলার। সান্ডারল্যান্ডের বেইলি রাইট ও স্টোক সিটির হ্যারি সাউটারকে রুখতে হবে ফ্রান্সের ক্ষুরধার আক্রমণকে।
সম্ভাব্য লাইন আপ
ফ্রান্স: (৪-২-৩-১) লরিস (গোলরক্ষক), পাভার্ড, কোনাতে, উপামেকানো, লুকাস হার্নান্দেজ, চুয়ামিনি, রাবিউত, দেম্বেলে, গ্রিজম্যান, এমবাপে, জিরুদ।
অস্ট্রেলিয়া: (৪-৩-৩) রায়ান (গোলরক্ষক), অ্যাটকিনসন, রাইট, সাউটার, বেহিচ, আরভিন, মুয়ি, ম্যাকগ্রি, লেকি, ডিউক, মাবিল
প্রেডিকশন
সাম্প্রতিক সময়ে ফরাসিরা ঠিক নিজেদের মতো খেলতে পারছে না। তার উপর দলের একাধিক খেলোয়াড় গিয়েছেন ছিটকে। নামগুলোও বেশ বড়। তারপরও তারকা বহুল একটি দল ফ্রান্স। অন্যদিকে বিশ্বকাপের রেকর্ডটা খুব একটা ভালো নয় সকারুদের। তাই এ ম্যাচে এগিয়ে থাকবে ফ্রান্সই।
সম্ভাব্য স্কোর
ফ্রান্স ২-১ অস্ট্রেলিয়া
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) বিশ্বকাপে দুই দেশের মুখোমুখি একমাত্র লড়াইয়ে ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে জিতেছিল ফ্রান্স।
২) দুই দলের মধ্যে সব মিলিয়ে লড়াই হয়েছে পাঁচটি। সেখানে তিন ম্যাচে জিতেছে ফ্রান্স। একটি ড্র। ফ্রান্সের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র জয়টি আসে ২০০১ সালের কনফেডারেশন কাপে। যদিও সেবার শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্সই।
৩) ২০১৩ সালে পার্ক দি প্রিন্সেসে একটি প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ানদের ৬-০ গোলে হারায় ফ্রান্স। যা দলটির বিপক্ষে ফরাসিদের সর্বোচ্চ জয়।
৪) এই নিয়ে টানা সপ্তম বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ফ্রান্স- যা তাদের দীর্ঘতম যাত্রা।
৫) ২০০২ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলতে গিয়ে একটি গোলও দিতে পারেনি ফ্রান্স। আর কোনো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এমন রেকর্ড নেই।
৬) শেষ ১২টি বিশ্বকাপে কেবল মাত্র তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে (৪টি ড্র, ৫টি হার)। ব্যতিক্রম ছিল ১৯৯৪ সালে জার্মানি এবং ১৯৯৮ এবং ২০০৬ সালে ব্রাজিল।
৭) ডেনমার্কের কাছে দুটি পরাজয় সহ শেষ ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জিতেছে ফ্রান্স (২টি ড্র ও ৩টি হার)।
৮) অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান স্কোয়াডের কেউই বিশ্বকাপে গোল করতে পারেননি।
৯) ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ডেনমার্কের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর এই প্রথম কোনো ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়বে অস্ট্রেলিয়া।
১০) অস্ট্রেলিয়া তাদের ১৬টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছে (৪টি ড্র ও ১০টি হার)। দুটিই গ্রুপ পর্বে - ২০০৬ সালে জাপানের বিপক্ষে ৩-১ গোলে এবং ২০১০ সালে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পায় তারা।
১১) ১৯৭৪ সালে চিলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচটিই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ১৬ ম্যাচে একমাত্র ক্লিনশিট।
১২) পাঁচটি বিশ্বকাপের চারটিতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে সকারুরা।
১৩) বিশ্বকাপে একবারই গ্রুপ পর্ব পার হতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছিল দলটি। তবে শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সেস্কো টট্টির করা পেনাল্টি থেকে ইতালির কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় তারা।
Comments