দারুণ লড়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো

র্যাঙ্কিংয়ে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও মাঠের লড়াইয়ে একচুলও ছাড় দিল না মরক্কো। জ্লাতকো দালিকের শিষ্যরা বলের দখল ধরে রাখলেও বল পাওয়া মাত্র আক্রমণ শানিয়েছে ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের শিষ্যরা। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় সাফল্য পেল না কোন দলই। আরও একটি গোলশূণ্য ম্যাচের স্বাক্ষী হলো ২০২২ বিশ্বকাপ।
বুধবার কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে ০-০ স্কোরলাইনে সমাপ্তি ঘটেছে ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো ম্যাচের। ম্যাচজুড়ে মোট ১৪টি শট নিয়েও কাঙ্খিত গোল আদায় করে নিতে পারেননি ফরোয়ার্ডরা। বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল দুই দলই, মোট ২৮বার রেফারিকে বাজাতে হয়েছে ফাউলের বাঁশি।
শুরু থেকেই সমানে সমানে লড়তে থাকে দুই দল। ক্রোয়েশিয়া বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও বেশ কয়েকবার সুযোগ ধরা দিয়েছিল মরোক্কোর হাতেও। সেলিম আমাল্লাহর ভুলে ১৭ মিনিটে বল পেয়ে যান ইভান পেরিসিচ।
গোলবারে শটও নেন তিনি, কিন্তু বারের সামান্য উপর দিয়ে বল চলে গেলে হতাশ হতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণ শানায় মরক্কোও। বক্সে দারুণ এক ক্রস জোগান দেন হাকিম জিয়েচ, কিন্তু হেড করতে পারেননি ইউসেফ এন-নেসিরি।
৪২ মিনিটে পেশির ব্যাথায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নিকোলা ভ্লাসিচ। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবারও উঠে দাড়ান তিনি। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন মরক্কোকে। অল্প কিছুক্ষণ বাদে আবারও সুযোগ ছিল ক্রোয়েশিয়ার সামনে, কিন্তু লুকা মদ্রিচের শট অল্পের জন্য থাকেনি লক্ষ্যে।
বিরতির পরও একই থাকে খেলার চিত্র। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে বারবারই গোলের সম্ভাবনা জাগাতে থাকে দুই দল। ৫১ মিনিটে টানা দুটি সুযোগ তৈরি করে মরক্কো, সোফিয়ান বোফালের শট রুখে দেন ক্রোয়েশিয়া সেন্টার ব্যাক দেজান লোভরেন, বল গিয়ে পড়ে লেফট ব্যাক নৌসাইর মাজরাউইর সামনে। দারুণ এক হেড করেন তিনিও, কিন্তু ডমিনিক লিভাকোভিচের গ্লাভস ফাঁকি দিতে পারেননি।
৬২ মিনিটে ফিনিশিং ব্যর্থতা আরও একবার পোড়ায় মরক্কোকে। হাকিমির ক্রসে কেবল ঠিকমতো পা ছোঁয়ালেই মরক্কোকে এগিয়ে দিতে পারতেন এন-নেসিরি। ৬৫ মিনিটে ফ্রি কিক জিয়েচ জোরালো শট নেন পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমি, কিন্তু অটল ছিলেন লিভাকোভিচ।
৭১ মিনিটে মদিচের ফ্রি কিক থেকে জোরালো হেড করেন বদলী মার্কো লিভাজা। তবে নায়েফ আগুয়ের্ড পাল্টা হেডে রক্ষা করেন দলকে। দুই মিনিট বাদে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় মরক্কো, দ্রুতগতিতে ক্রোয়েশিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েন বদলী ফরোয়ার্ড আবদেসামাদ ইজ্জালজৌলি। কিন্তু আবারও ত্রাতারূপে আবির্ভুত হন লোভরেন, কেড়ে নেন বল।
৭৯ মিনিটে মাতেও কোভাচিচকে উঠিয়ে লোভরো মাজারকে নামান ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিক। দুটো বদল আনে মরক্কোও, কিন্তু গোল অধরাই থেকে যায় তাদের। শেষ বাঁশি বাজার আগে আরও কয়েকবার চেষ্টা চালায় ক্রোয়াশিয়াও। কিন্তু আটলাসের সিংহদের রক্ষণ ফাঁকি দিতে পারেনি তারা। ফলে শেষ পর্যন্ত ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।
Comments