স্প্যানিশ আগ্রাসনে বিধ্বস্ত কোস্টারিকা

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতিতে খেলল স্পেন। পাসিং, ড্রিবলিং ও বলের নিয়ন্ত্রণ সব কিছুতেই অনন্য। গোল পেলেন সব ফরোয়ার্ডরা। তাতে রীতিমতো খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে কোস্টারিকা। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

বুধবার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের 'ই' গ্রুপের ম্যাচে উত্তর আমেরিকার দল কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন। দলের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন বার্সা তারকা ফেরান তোরেস। এছাড়া দানি ওলমো, মার্কো আসেনসিও, পাবলো গাভি, কার্লোস সোলের ও আলভারো মোরাতা দিয়েছেন একটি করে গোল।

২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের গ্রুপে পড়ে জাদুকরী পারফরম্যান্স করেছিল কোস্টারিকা। অবিশ্বাস্যভাবে সেবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছিল দলটি। রাশিয়ায় গত আসরটা বিবর্ণ গেলেও এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপের মতোই কিছু করার জন্য মুখিয়ে ছিল তারা। কিন্তু পাত্তাই পায়নি দলটি। পারেনি নুন্যতম প্রতিরোধ গড়তে।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ তো পুরোটাই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। ৮২ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদেরই। ১৭টি শট নেয় দলটি, তার ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে লক্ষ্যে তো দূরের কথা, একটি শটও নিতে পারেনি কোস্টারিকা।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো দলটি। দানি ওলমোর শট বেরিয়ে যায় বারের গা ঘেঁষে। ১১ মিনিটে গাভির দারুণ এক পাস থেকে গোল করে এই আক্ষেপ ঘুচান ২৪ বছর বয়সী এ লাইপজিগ ফরোয়ার্ড। এনরিকের তরুণ দল পেয়ে যায় প্রথম সাফল্য।

১০ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্পেন। জর্দি আলবার চিপ ধরে বক্সের ভিতর থেকে শট নেন মার্কো অ্যাসেনসিও। জোরালো সেই শট রুখতে পারলেন না নাভাস, স্পেন আবারও মাতে উল্লাসে। ম্যাচে চালকের আসনে চলে আসে দলটি।

২৯ মিনিটে বক্সের ভেতর আলবা বাধ্য করেন দুরান্তেকে ট্যাকেল করতে, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্প্যানিশ লেফট ব্যাক। পেনাল্টি পেয়ে ফেরান তোরেস ঠান্ডা মাথায় বল জড়িয়ে দেন জালে। ৩-০ তে এগিয়ে যায় স্পেন।

৫৫তম মিনিট স্কোরলাইন ৪-০ করেন তোরেস। আজপিলিকুয়েতার কাটব্যাক থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে যান তিনি। তাকে বাঁধা দিতে আসেন ব্রায়ান অভিয়েদো। এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। তাতে জটলা সৃষ্টি হলে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান এ বার্সা ফরোয়ার্ড।

৭৪তম মিনিটে স্কোরবোর্ডে নিজের নাম লেখান বার্সার তরুণ গাভি। মোরাতার নিখুঁত ক্রস থেকে নিখুঁত এক ভলি করে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তাতে বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে নিজের নাম লেখান ১৮ বছর বয়সী এ তরুণ।

নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে গোল উৎসবে মাতেন বদলি খেলোয়াড় কার্লোস সোলেরও। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দানি ওলমোর সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে গোল দেন আরেক বদলি খেলোয়াড় মোরাতাও। ফলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

6h ago