যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

গ্রুপ পর্বে দুটি ম্যাচে ড্র করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতার কারণে তিন ম্যাচে মাত্র দুই গোল পেয়েছিল গ্রেগ বারহল্টারের শিষ্যরা। একই কারণে নকআউটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আক্ষেপে পড়তে হলো আমেরিকানদের। একাধিক সুযোগ তৈরি করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকরা। এদিকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ডাচরা।

শনিবার শেষ ষোলোর প্রথম ম্যাচে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। বলের দখল থেকে আক্রমণ গড়া, কোনদিকেই পিছিয়ে ছিলেন না ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকরা। কিন্তু মেমফিস ডিপাই, ডিলে ব্লিন্ড ও ডেনজেল ডাম্ফ্রিসের গোলে জয় পেল লুইস ভন গলের শিষ্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে হাজি রাইট একটি গোল শোধ করলেও খেলায় ফিরে আসতে পারেনি তারা।

ম্যাচের শুরুতে বলের দখল নিয়ে দৃঢ়তা দেখাতে থাকে আমেরিকানরা। তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। পুলিসিকের শট রুখে সে যাত্রা বাঁচান অ্যান্ড্রিস নোপার্ট। তবে ম্যাচের প্রথম সাফল্য পায় ডাচরাই, নবম মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। ডামফ্রিসের পাস থেকে গোল করেন মেমফিস ডিপাই। গোল হজম করে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে গ্রেগ বারহল্টারের শিষ্যরা।

২১ মিনিটে বারের অনেক বাইরে দিয়ে শট চালান ডিপাই। ২৮ মিনিটে দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ে ফের যুক্তরাষ্ট্রের বক্সে ত্রাস ছড়ান তিন। তবে পায়ের দারুণ কাজ দেখালোও বারে শট চালাতে পারেননি বার্সেলোনা তারকা। পরের মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন ডামফ্রিসও, কিন্তু এবার সেটা গোলে রূপ দেওয়ার জন্য ছিলেন না কেউ।

৪৩ মিনিটে টিমোথি ওয়েহর শট ঠেকিয়ে দেন আবারও দলকে বাঁচান নোপার্ট। তবে প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে ফের সাফল্য পায় ডাচরা। ডামফ্রিস আবারও তৈরি করেন দারুণ এক সুযোগ, এবার সেটা জালে জড়ান ডিলে ব্লিন্ড। রেফারির বাঁশি বাজলে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

বিরতির পর ৪৮ মিনিটে কর্নার থেকে সুযোগ হারায় আমেরিকানরা। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় নেদারল্যান্ডসও তবে কাজে আসেনি সেই চেষ্টা। খানিক বাদে একটুর জন্য গোলবঞ্চিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দফায় ম্যকেনির হেডার রুখে দেন নোপার্ট। বল পেয়ে ক্রস করেন পুলিসিক। তবে রিমের শট গোললাইনের খুব কাছ থেকে ফেরায় নেদারল্যান্ডস। 

পরের মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজমের ঝুঁকিতে পড়েছিলেন পুলিসিকরা, ওয়াকার জিমারম্যানের ভুল থেকে সৃষ্টি হওয়া বিপদ থেকে দলকে বাঁচান টার্নার। এদিকে আক্রমণ থামায়নি যুক্তরাষ্ট্র। ৫২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চেষ্টা নেন পুলিসিক। পরের মিনিটে আবারও সুযোগ তৈরি করে আমেরিকার দলটি, ওয়েস্টন ম্যাকেনির শট বেরিয়ে যায় বারের ওপর দিয়ে। 

ডাচরাও গড়ে কয়েকটি আক্রমণ, ৬১ মিনিটে ডিপাই নেন নিঁখুত এক শট, কোনমতে আঙ্গুল ছুঁইয়ে ক্রসবারের ওপর বল ঠেলে দেন ম্যাট টার্নার। ৭০ মিনিটে গৌরবের অংশীদার হতে চেয়েছিলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইকও। তবে বারের ওপর দিয়ে হেড করে সেই সুযোগ হারান লিভারপুল সেন্টার ব্যাক। দুই মিনিট বাদে দুবার দারুণভাবে দলকে বাচান টার্নার। 

টেউন কুপমেইনারসের শট ঠেকানোর পরপরই ফেরান ডিপাইয়ের ধেয়ে আসা হেডার। ৭৫ মিনিটে রাইটের শট ব্লক করেন ডামফ্রিস। পরের মিনিটে একটি গোল শোধ করতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। পুলিসিকের কাটব্যাক থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্কোরলাইন ২-১ করেন রাইট।

৮১ মিনিটে ডামফ্রিস আবারও ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডাচদের পক্ষে। ব্লিন্ডের দারুণ ক্রসে দৃষ্টিনন্দন এক ভলিতে জাল খুঁজে নেন এই ইন্টার মিলান ফুলব্যাক। ৮৯ মিনিটে বক্সের ভিতর সুযোগ নষ্ট করেন স্টিভেন বার্গুইন। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়েও একই থাকে খেলার চিত্র। ফলে শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়।

Comments

The Daily Star  | English

No discussion on ‘humanitarian corridor’ with UN or any entity: Shafiqul

Regarding the reports of involvement of a major power, he said, these are 'pure and unadulterated' propaganda.

54m ago