'মানসিকতায় বদল' এনে কাতারে এসেছে ইংল্যান্ড

প্রতি বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ড ভক্তদের কণ্ঠে শোভা পায় 'ইটস কামিং হোম' গান। তবে আদতে গত ৫৬ বছর ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি থ্রি লায়নদের। গত রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপার অনেক কাছে গিয়েও হতাশায় পুড়তে হয়েছিল তাদের। তবে কাতারে ভিন্ন মানসিকতা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হবার দৌড়ে নেমেছে ইংলিশরা, জানালেন দলটির ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুয়েইর।

২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়াশিয়ার বিপক্ষে হেরে দেশের বিমান ধরতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল তারা, ২০১০ আসরে থেমেছিল শেষ ষোলোতে। তবে মরুর বুকে শুরু থেকেই দেখা মিলেছে ছন্দময় ইংল্যান্ডের।

প্রথম ম্যাচেই ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ড্র করলেও ওয়েলসকে তারা হারায় ৩-০ ব্যবধানে। শেষ ষোলোর ম্যাচে সেনেগালকেও একই ব্যবধানে পরাস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটে নেয় ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে তাদের সমান নয় গোল করতে পেরেছিল কেবল স্পেন।

বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে মাগুয়েইর বলেন, 'আমার মনে হয় একটা জিনিস আমি বলব ২০১৮ এর দলটির চেয়ে এই দল অনেক আলাদা। আমি মনে করি আমরা আসলেই বিশ্বাস করি এটা (বিশ্বকাপ জয়) সম্ভব। আমি ২০১৮ এর আসরে খেলেছি ও আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়ই খুশি ছিল। আপনারা খুশি ছিলেন সেমির অংশ হতে পেরে।'     

তবে এবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী বলে জানান ২৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার, 'আমার মনে হয় এখন একটা বিশ্বাস আছে যে আমাদের এই প্রতিযোগিতা জিততে হবে। এটা মানসিকতার একটা ইতিবাচক বদল।'

তবে সেই পথটা যে বেশ কঠিন হবে সেটা ভালোই জানা আছে এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলারের, 'অবশ্যই আমরা জানি এটা (বিশ্বকাপ জয়) কতোটা কঠিন হতে চলেছে। আমার মনে হয় সম্ভবত পাঁচ থেকে ছয়টা দল আছে যারা এমনটা বিশ্বাস করে। কিন্তু ২০১৮ বিশ্বকাপে আমরা সম্ভবত সেই দলগুলোর মধ্যে ছিলাম না যাদের এই বিশ্বাস ছিল। তবে এবার পাঁচ অথবা ছয়টি দলের এমন বিশ্বাস আছে ও আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত।'

আগামী শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে শেষ আটের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ইংলিশদের বিশ্বাসের জোর কতোটুকু তা জানা যাবে সেই ম্যাচেই।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago