মেয়ের কথা ভেবেই এমন শান্ত ছিলেন লাউতারো!

অফফর্মে থাকায় হারিয়েছেন প্রথম একাদশের জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে সুবর্ণ কিছু সুযোগ পেয়েও অবিশ্বাস্য মিসে এমনিতেই ছিলেন চাপে। তার উপর এঞ্জো ফার্নান্দেজ আগের শট মিস করায় চাপ বাড়ে আরও। সেই লাউতারো মার্তিনেজ আগের দিন শেষ শটটা কি শান্তভাবেই না নিলেন। তার লক্ষ্যভেদেই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। শট নেওয়ার আগে কেবল নিজের মেয়ের কথাই ভাবছিলেন লাউতারো।
শুক্রবার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে টাই-ব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কোনো গোল না হলে টাই-ব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচটি। যেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ শটটি নিয়েছিলেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনার ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার স্বপ্নযাত্রার অন্যতম নায়ক ছিলেন লাউতারো। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে ছন্দ হারান। তার জায়গায় হুলিয়ান আলভারেজ এখন কোচ লিওনেল স্কালোনির প্রথম পছন্দ। তবে বদলি হিসেবে নেমে অনেক সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপে এখনও মিলেনি জালের দেখা। সবমিলিয়ে দারুণ চাপেই ছিলেন লাউতারো। কিন্তু তারপরও ম্যাচের শেষ শটটা নিতে তাকেই পাঠান কোচ স্কালোনি।
আর আস্থার প্রতিদান দারুণভাবেই দেন লাউতারো। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে এ ফরোয়ার্ড বলেন, 'আমি কোপা আমেরিকার মতো এখানেও ভাগ্য নির্ধারণী পেনাল্টি নিয়েছি। যাওয়ার সময় আমি খুব শান্ত ছিলাম, কারণ আমি আমার কাজকে বিশ্বাস করি, এইজন্য কাজ করি। আমি প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে চাই এবং সেই সকল লোকেদের আনন্দ দিতে চাই যারা আমাদের দেখছেন।'
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একমাত্র সন্তান নিনা মার্তিনেজের বাবা হন লাউতারো। শট নিতে যাওয়ার আগে তার কথাই ভাবছিলেন তিনি, 'আমি আমার মেয়ের কথা ভাবছিলাম, কোভিড মহামারীর সময় যার জন্ম হয়েছে এবং আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে। আমি কখনো কোনো কথায় কান দিই না, আমি মাথা নিচু করে কাজ করি। কখনও কখনও তা কাজে দেবে, কখনও দেবে না, কিন্তু আমার এখানে থাকার যোগ্যতা আছে।'
Comments