ফাইনালে আকাশী নীল-সাদা জার্সি পরে খেলবে আর্জেন্টিনা

অ্যাওয়ে জার্সিটাকে 'অপয়া'ই মনে করেন আর্জেন্টাইনরা। যে কারণে প্রথাগত নীল রঙয়ের অ্যাওয়ে জার্সি বদলে এবার অনেকটা বেগুনী রঙ বেছে নিয়েছে দলটি। কিন্তু তারপরও তো ওইটা অ্যাওয়ে জার্সিই। যে জার্সিতে ফাইনাল খেলে জয়ের নজির নেই আলবিসেলেস্তেদের। আশার কথা এবার কাতারে ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের পছন্দের হোম জার্সি অর্থাৎ আকাশী নীল-সাদা জার্সি পরে খেলতে নামবেন লিওনেল মেসিরা।

আগামী রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে নামার আগে চারদিকে আলোচনা ছিল কোন জার্সি পরে খেলবেন মেসিরা। শেষ পর্যন্ত জানা গেছে হোম জার্সি পরেই খেলবে দলটি। হোম জার্সি পরে খেলবে ফ্রান্সও। দুই দলের জার্সির রঙয়ের ভিন্নতার কারণেই বাছাই করার বিষয়টি সহজ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফিফা টেকনিক্যাল মিটিংয়ে হোম জার্সির রঙে কোনো সমস্যা না থাকলেও সমস্যা বাঁধে শর্টস নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সাদা রঙয়ের শর্টস পরে খেলে দুই দলই। স্বাভাবিকভাবে কালো রঙয়ের শর্টস পরে খেললেও শেষ দুটি ম্যাচে আকাশী-নীল জার্সির সঙ্গে সাদা রঙের শর্টস পরে খেলেছে আর্জেন্টিনা। আলোচনা শেষে সাদা রঙয়ের শর্টস দেওয়া হয় ফ্রান্সকে। একই লাল মোজা পরে খেলবে দলটি। আর্জেন্টাইনরা পরবে সাদা রঙয়ের মোজা। 

বিশ্বকাপের সবশেষ দুটি ফাইনালে অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। আর তার ফলাফল কম-বেশি সবাই জানে। দুইবারই জার্মানদের হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। দুটি হারই ১-০ ব্যবধানে। তাও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হারে তারা। অন্যদিকে ১৯৭৮ সালে ঘরের মাঠে এবং ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে যে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা, দুইবারই নিজেদের হোম জার্সি অর্থাৎ আকাশী নীল-সাদা রঙয়ের জার্সি পরে খেলেছিল দলটি।

এর আগে প্রথম বিশ্বকাপ অর্থাৎ ১৯৩০ সালেও ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার প্রতিবেশী উরুগুয়ের কাছে ফাইনালে ৪-২ ব্যবধানে হারে তারা। তখন টিভি সম্প্রচার না থাকায় হোম ও অ্যাওয়ে জার্সির ব্যাপার ছিল না। প্রতি দলের এক ধরণের জার্সিই ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

38m ago