কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতলেন মেসি

একটাই অপূর্ণতা ছিল তার দীর্ঘ গৌরবময় ক্যারিয়ারে। সম্ভাব্য সব জিতলেও বিশ্বকাপ ট্রফিটা কিছুতেই ছোঁয়া হচ্ছিল না তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারের। অবশেষে কাতারে ঘটল তার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। পরম আরাধ্য সোনালী ট্রফিতে চুমু খেলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের সঙ্গে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার 'গোল্ডেন বল'ও জিতে নিলেন লা পুল্গা।
রোববার আর্জেন্টিনার তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা পিছনে গোল করে ও করিয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান মেসিরই। সাত গোল করে তিনি ছিলেন গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও। সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন তিনটি। ফলে অবধারিতভাবে তার হাতে উঠেছে গোল্ডেন বল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মাননাটি জিতলেন তিনি। এই রেকর্ড নেই ফুটবল ইতিহাসের আর কোনো খেলোয়াড়ের। ফলে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচটি সম্ভাব্য সেরা উপায়েই রাঙালেন তিনি।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষেই গোলের খাতা খুলেছিলেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী লা পুল্গা। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ব্যতীত ফাইনালের আগ পর্যন্ত বাকি সব ম্যাচেই একটি করে গোল করেছিলেন মেসি। তার সাত গোলের চারটিই অবশ্য এসেছে পেনাল্টি থেকে। সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস ও ক্রোয়েশিয়ার পর শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষেও সফল স্পট-কিক নেন ক্ষুদে জাদুকর।
সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতেও দারুণ পটু ছিলেন মেসি। মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অ্যাসিস্ট করেন একটি করে গোলে। ফাইনালে জোড়া গোল পেলেও করেননি কোনো অ্যাসিস্ট। তবে আসরজুড়ে গোলের সুযোগ তৈরিতে দারুণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন মেসি। সব মিলিয়ে ২১ বার সতীর্থদের সুযোগ তৈরি করে দেন তিনি।
২২ বার গোলের সুযোগ তৈরি করে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ফরাসি তারকা আঁতোয়ান গ্রিজমানও। ৩৫ বছর বয়সী মেসির সমান তিনটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনিও। কিন্তু গোল করতে না পারায় পিছিয়ে পড়েন।
আট গোল ও দুই অ্যাসিস্ট নিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী কিলিয়ান এমবাপে গোল্ডেন বলের লড়াইয়েও চোখ রাঙাচ্ছিলেন মেসিকে। তবে আসরজুড়ে আলো ছড়ানোতে তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা। তাই শেষ পর্যন্ত মেসির হাতেই ওঠে সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি।
Comments