অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন এমবাপে

একটা-দুইটা নয়, তিন তিনটি গোল। নিজ দলের সবগুলো গোল করলেন একাই। ৫৬ বছর পর বিশ্বকাপের কোনো ফাইনালে হ্যাটট্রিক। এরপর টাই-ব্রেকারেও প্রথমে লক্ষ্যভেদ করে দলকে লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপেকে। কিন্তু এরপরও হারতে হয়েছে ফ্রান্সকে। মাথা নত করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে ২৩ বছর বয়সী এ তরুণকে।

গনসালো মন্তিয়েল যখন লক্ষ্যভেদ করেন তখন উল্লাসে মেতে ওঠেন আর্জেন্টাইনরা। কে কার আগে ছুটবেন তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা। এর কিছুক্ষণ পরই টিভি ক্যামেরা গেল এমবাপের দিকে। মাঠের এক প্রান্তে হত-বিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এমবাপে। এক পর্যায়ে বসে পড়েন। কি করবেন তা কিছুই যেন বুঝতে পারছিলেন না।

আর পারবেনই বা কীভাবে। একা এতো পথ এগিয়ে দেওয়ার পর পেলেন না সতীর্থদের পর্যাপ্ত সহায়তা। কিংসলে কোমানের পেনাল্টি শট ঠেকিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার আরলিয়েন চুয়ামিনি তো লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি। এরপর আর জয় মিলবেই কীভাবে?

পরে দলের সিনিয়র স্টাফরা আসেন এমবাপেকে সান্ত্বনা দিতে। আসেন সতীর্থরাও। প্রতিপক্ষ কোচ লিওনেল স্কালোনিও সান্ত্বনা দেওয়া চেষ্টা করেন। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ হতে শুরু করে অনেক আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রাও সান্ত্বনা দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই ক্ষতটা শুকাচ্ছিল না তার। একদম নিশ্চুপ। মাথা নত করে নিজের পুরষ্কার নিয়েছেন। তখনও চুপচাপ।

শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙেছেন এ ফরাসি তরুণ। সামাজিকমাধ্যমে নিজের গোল্ডেন বুট হাতে ছবি আপলোড দিয়ে ছোট্ট এক বাক্যে ক্যাপশন লিখেছেন, 'আমরা ফিরে আসব।'

বয়স তো মাত্র ২৩। আগামী মঙ্গলবার পা দিবেন ২৪'এ। অর্থাৎ ক্যারিয়ারে এখনও অনেক লম্বা পথ পারি দিতে বাকি। দুটি বিশ্বকাপ খেলেই করে ফেলেছেন ১২টি গোল। এরমধ্যেই যে কীর্তি গড়েছেন তাতে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় আগামীতে অনেক অনেক নতুন মাইলফলকে পা রাখবেন এমবাপে। তখন নিজেকে কোন উচ্চতায় তোলেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

Why wouldn't there be a regime change in Iran?: Trump

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

21h ago